রাইড শেয়ারিং অ্যাপ উবারের কাছে ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের ১০ হাজারেরও বেশি ট্যাক্সি চালক। সম্প্রতি লন্ডন হাইকোর্টে মামলাটি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, অনলাইনে গ্রাহক বুকিংয়ের পাশাপাশি সাধারণ ট্যাক্সিক্যাবের মতো সরাসরি যাত্রী নেন উবারের চালকরা। তার চেয়েও বড় অভিযোগ হলো সরাসরি যাত্রী নেওয়ার ক্ষেত্রে লন্ডনের নিয়মিত ক্যাবচালকদের কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হয়। উবারের চালকরা সেসব নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না।

যেমন যুক্তরাজ্যে ট্যাক্সিক্যাব চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্সের পাশাপাশি যাত্রী পরিবহনের জন্য পৃথক লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়। মামলাকারী ক্যাব চালকদের অভিযোগ— সেই লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও অনলাইনের বাইরে সরাসরি যাত্রী সংগ্রহ করে চলছেন উবার চালকরা।

২০১২ সালের মে থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত উবার চালকদের ব্রিটেনের ট্রাফিক আইন লঙ্ঘণ সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগের সংকলন করে মামলার নথি হিসেবে আদালতে জমাও দিয়েছেন ট্যাক্সিক্যাব চালকরা। তারা বলছেন, উবার চালকদের আইন লঙ্ঘণের কারণে আর্থিকভাবে লোকসানের শিকার হচ্ছেন ক্যাবচালকরা।

বাদি ট্যাক্সিক্যাব চালকদের উকিল হিসেবে মামলায় লড়বে যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত আইন পরিষেবা প্রতিষ্ঠান আরজিএল ম্যানেজমেন্ট। ট্যাক্সিক্যাব চালকদের পক্ষ থেকে মামলাটি লন্ডন হাইকোর্টে নিবন্ধনও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

আরজিএল ম্যানেজমেন্ট পরিচালক মাইকেল গ্রীন এ প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ওয়ার্ল্ডকে বলেন, ’১০ হাজার ৫০০ জন চালকের আইনী প্রতিনিধি হিসেবে আরজিএল এই মামলার অংশ হতে পেরে আরজিএল ম্যানেজমেন্ট আনন্দিত। উবারকে যুক্তরাজ্যের প্রাসঙ্গিক আইন মেনে চলতে ব্যর্থতার জন্য দায়ী করার ক্ষেত্রে এই মামলা একটি বড় আইনি মাইলফলক হতে যাচ্ছে।’

তবে উবারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এই রাইড শেয়ারিং অ্যাপটির কর্তৃপক্ষ। উবারের একজন মুখপাত্র এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘মামলার নথি হিসেবে যেসব অভিযোগ আদালতে পেশ করা হয়েছে, সেসব পুরোনো এবং ভিত্তিহীন। উবার সম্পূর্ণ আইন মেনে লন্ডনে তাদের অপারেশন পরিচালনা করে। যাত্রী পরিষেবা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডনের (টিএফএল) যেসব অনুমতি নিতে হয়, সেসবও নিয়েছে উবার।’

সূত্র : এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড

এসএমডব্লিউ