লাস্যময়ীদের আবেদনে লুকিয়ে আছে বিপদ, ডেটিং অ্যাপে যে ফাঁদ
ডেটিং অ্যাপ যেন লুটের ফাঁদ। লাস্যময়ীদের আবেদনে লুকিয়ে আছে বড় বিপদ। সম্প্রতি এমন ফাঁদে পড়েছেন ভারতের এক ব্যবসায়ী।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, ডেটিংয়ের নাম করে শহরের এক ব্যবসায়ীকে হোটেলে ডাকে দুই সুন্দরী। তাকে দক্ষিণ কলকাতার একটি হোটেলের ঘরে নিয়ে গিয়ে মাদকাচ্ছন্ন করে তার সোনার গয়না হাতিয়ে নিয়ে পালায় ওই দুই তরুণী।
বিজ্ঞাপন
পরে প্রায় একশো মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে দুই তরুণীকে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন
গ্রেপ্তার তরুণীদের একজনের নাম অঙ্কিতা গুহ। অন্যজনের নাম মৌমিতা চক্রবর্তী ওরফে মামণি ওরফে পিউ মিত্র।
পুলিশ জানিয়েছে, কলকাতারই এক ব্যবসায়ী একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। রেজিস্ট্রেশনের পর তিনি একসঙ্গে দুই নারীর সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানান। অ্যাপের মাধ্যমেই দুজনের মোবাইল নম্বর পান তিনি। যদিও তখনও ব্যবসায়ী বুঝতে পারেননি যে, ওই ডেটিং অ্যাপটি ভুয়া ও একসঙ্গে লুটের ফাঁদ।
বালিগঞ্জ থানা এলাকার শরৎ বোস রোডের একটি হোটেলে ব্যবসায়ী তাদের আসতে বলেন। দুপুরে তারা হোটেলে আসেন। একই রুমে তিনজন সময় কাটাতে থাকেন। এর মধ্যেই ব্যবসায়ীর পানীয়র মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয় অভিযুক্ত দুই তরুণী। তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই অচেতন হয়ে পড়েন। সেই সুযোগে তার সোনার চেন, বালা লুট করে অভিযুক্তরা।
রুম থেকে বের হওয়ার আগে তার মোবাইল থেকে তাদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ও তাদের সঙ্গে হওয়া যাবতীয় হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট মুছেও ফেলেন তারা। দুজন চলে যাওয়ার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর ব্যবসায়ীর চেতনা ফেরে। তাঁর ডাকে হোটেলের কর্মীরা আসেন। তারাই বালিগঞ্জ থানায় খবর দেন।
হাসপাতালে চিকিৎসার পর তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। বালিগঞ্জ থানার ওসি বোধিসত্ত্ব প্রামাণিকের নেতৃত্বে একটি টিম তদন্ত শুরু করে। টিমকে সাহায্য করে সাউথ ইস্ট ডিভিশনের সাইবার সেল।
তদন্তের শুরুতেই পুলিশ বুঝতে পারে, ডেটিং অ্যাপটি ভুয়া। যেহেতু হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর মুছে ফেলা হয়, তাই ডেটিং অ্যাপটির সূত্র ধরেই চলে তদন্ত। ওই ডেটিং অ্যাপের ‘হিস্ট্রি’ থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ হওয়া প্রায় একশো মোবাইল নম্বর পরীক্ষা করতে থাকে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত কয়েকটি মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরেই দুজনকে শনাক্ত করা হয়।
এমএসএ