দখলদার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ জানিয়েছেন, যদি হামাস তাদের সঙ্গে জিম্মি চুক্তি করে তাহলে গাজার শেষ নিরাপদস্থল রাফাহতে তারা হামলা চালাবেন না।

ইসরায়েলি সেনাদের বর্বরতা থেকে বাঁচতে গাজার লাখ লাখ বাসিন্দা রাফাহতে আশ্রয় নিয়েছেন। ইসরায়েল দাবি করছে, যদি হামাসকে তাদের পুরোপুর হারাতে হয় তাহলে রাফাহতে হামলা চালাতে হবে। কারণ সেখানে এখনো হামাসের চারটি ব্যাটালিয়ন রয়ে গেছে।

তবে জিম্মি চুক্তি করলে এই পরিকল্পনা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়ে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্থানীয় সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২কে বলেছেন, “জিম্মিদের মুক্তি আমাদের কাছে এখন প্রধান বিষয়”

চুক্তি করতে যদি রাফাহতে হামলার পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হয়— ইসরায়েল এতে রাজি হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, “হ্যাঁ। যদি চুক্তি হয় আমরা এই অভিযান বাতিল করব।”

ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও রাফাহতে হামলা না চালাতে বলেছে। তাদের মতে, জনবহুল রাফাহতে হামলা চালালে সেখানে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ওইদিন ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালিয়ে প্রায় ২৫০ জনকে গাজায় ধরে নিয়ে আসে হামাস। যার মধ্যে ১০৫ জনকে গত বছরের নভেম্বরে ছেড়ে দেয় এই সশস্ত্র গোষ্ঠী।

ধারণা করা হয় হামাসের কাছে এখনো ১৩০ জনেরও বেশি জিম্মি বন্দি রয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকেই জীবিত আছেন। জীবিতদের ছাড়িয়ে আনতে এখন চেষ্টা চালাচ্ছে ইসরায়েল।

সূত্র: আলজাজিরা

এমটিআই