রাফাহতে হামলার আগে হামাসকে ‘শেষ সুযোগ’ দিচ্ছে ইসরায়েল
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শেষ নিরাপদস্থান রাফাহতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। এরমধ্যে গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বৈঠকে বসে ইসরায়েলি ও মিসরের একটি উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দল।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, মিসরীয় প্রতিনিধি দলকে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাফাহতে হামলা চালানোর আগে হামাসকে তারা ‘শেষ সুযোগ’ দেবে। আর এই সুযোগের মধ্যে তাদের সঙ্গে হামাসের জিম্মি চুক্তি করতে হবে। নয়ত যে কোনো সময় রাফাহতে তাদের সেনারা প্রবেশ করবে।
বিজ্ঞাপন
দখলদার ইসরায়েলের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিব্রু সংবাদমাধ্যম ইয়েনেতকে জানিয়েছেন, মিসরীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাদের ভালো আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, হামাসকে চুক্তিতে পৌঁছাতে চাপ দিতে মিসরীয় প্রতিনিধিরা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। অপরদিকে তারা জানিয়েছেন রাফাহতে সেনা পাঠানোর জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছে।
এই কর্মকর্তা বলেছেন, “আমরা রাফাহতে যাওয়ার আগে এটি শেষ সুযোগ। আমরা বলেছি হয় চুক্তি করতে হবে নয়ত রাফাহতে হামলা চালানো হবে।”
হামাসের গাজা শাখার প্রধান ইয়াহিয়া সিনাওয়ার বর্তমানে রাফাহতে রয়েছেন বলে ধারণা ইসরায়েলিদের।
আরও পড়ুন
এদিকে গত কয়েক মাস ধরে জিম্মি চুক্তির যে আলোচনা চলছিল সেখানে বলা হয়েছিল, হামাস প্রথম ধাপে ৪০ জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে। তবে এখন এই সংখ্যা আরও নিচে নামিয়ে আনতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। তবে হামাস প্রথম ধাপে ২০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার যে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে সেটি ইসরায়েলিরা মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
দখলদার ইসরায়েল জিম্মি চুক্তি চাইলেও তারা গাজায় যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করতে চায় না। তবে হামাস জানিয়েছে যদি ইসরায়েল কোনো ধরনের জিম্মি চুক্তি করতে চায় তাহলে অবশ্যই তাদের স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে হবে।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, রাফাহতে হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলি সেনারা প্রস্তুত রয়েছে। তবে ইসরায়েলি সরকার এটি আটকে রেখেছে। কারণ তারা রাফাহতে হামলা চালানোর বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে করতে চায়। এছাড়া আন্তর্জাতিক চাপের বিষয়টিও মাথায় রাখছে ইসরায়েল।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, রাফাহতে বর্তমানে হামাসের যে চার ব্যাটালিয়ন যোদ্ধা রয়েছে সেটির চেয়ে ইসরায়েল এখন গাজা ও মিসরের সীমান্তকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কারণ তাদের শঙ্কা মিসর সীমান্ত দিয়ে হামাসের কাছে আরও অস্ত্র আসতে পারে এবং তারা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। এ কারণে মিসর হয়ে যেন গাজায় কোনো অস্ত্র না আসে এই বিষয়টিকে তারা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
এমটিআই