ফাইজার ও বায়োএনটেকের কোভিড-১৯ টিকার জরুরি অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) এই অনুমোদন দেয় সংস্থাটি। এর ফলে দেশগুলোর জন্য এই ভ্যাকসিন আমদানি ও বিতরণ করার পথ সহজ হলো।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এই প্রথম কোনো ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির বানানো এই ভ্যাকসিনটি গত ৮ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাজ্যে ব্যবহার করা শুরু হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতেও এই ভ্যাকসিনের ব্যবহার শুরু হয়।

ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এক বছর আগে চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর প্রথম ফাইজার ও বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিলো তারা। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বিশ্বের কাছে ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা নিশ্চিতে এটি ইতিবাচক পদক্ষেপ বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

ডব্লিউএইচও’র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জেনারেল মারিয়ানগেলা সিমাও বলেন, প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য বৈশ্বিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার বিষয়ে জোর দিতে চাই আমরা। আর তাহলেই কেবল সব জায়গায় জনগণের প্রয়োজনের ভিত্তিতে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

নিজেদের বিশেষজ্ঞ দিয়ে ফাইজার ও বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা, কার্যকারিতা পরীক্ষা করানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। পরীক্ষায় ঝুঁকির বিরুদ্ধে সুরক্ষার বিষয়টিও বিবেচনা করা হয়েছে।

ডব্লিউএইচও’র মতে, ফাইজার ও বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার মানদণ্ড পূরণ করেছে এবং করোনাভাইরাস মোকাবেলায় এই ভ্যাকসিনের সুবিধাগুলো ঝুঁকির থেকে বেশি।

মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মানির প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের দাবি, তাদের উদ্ভাবিত করোনার টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর।

ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা সংরক্ষণের ক্ষেত্রে খুব শীতল তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। এই টিকা মাইনাস ৭০ (-৭০) ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়।

করোনা প্রতিরোধে ফাইজারের টিকার দুটি করে ডোজ নিতে হয়। প্রথম ডোজ নেওয়ার ২১ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার বর্তমানে বিশ্বব্যাপী চলছে এই মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ। নতুন রোগী শনাক্তের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি সমানতালে বেড়ে চলেছে মৃত্যুর সংখ্যাও।

শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮ কোটি ৩৪ লাখ জনে। এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৮ লাখ ১৭ হাজার ৫৩১ জনে।

টিএম