ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ ইস্যুতে জাতিসংঘের প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর বিরোধিতা করতেও সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

এমনকি ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের সদস্য হতে না দেওয়াকে অন্যায্য বলেও মনে করে ইউরোপ ও এশিয়ার সংযোগস্থল এই দেশটি। রোববার (২১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের সদস্যপদ ইস্যুতে জাতিসংঘের প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর বিরোধিতা করতে এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য রোববার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান।

এদিন ইস্তাম্বুলে মৌরিতানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ সালেম উলদ মারজুগের সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ফিদান বলেন, ‘এটা অন্যায্য যে, ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের সদস্য হতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই অন্যায়ের বিরোধিতা করার জন্য এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানাই।’

মারজুগের সাথে বৈঠকের সময় ফিদান বলেন, তারা ‘গাজায় চলমান গণহত্যা’ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি আরও বলেন: ‘তুরস্কের মতোই, মৌরিতানিয়াও ফিলিস্তিনি ইস্যু, বিশেষ করে গাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে সংবেদনশীল নীতি গ্রহণ করেছে এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদান করছে।’

ফিদান আরও বলেন, তুরস্ক এবং মৌরিতানিয়া গাজার বিষয়ে ‘দৃঢ়ভাবে সংহতি’তে রয়েছে। তার  ভাষায়, ‘সেখানে আমরা জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে মানবিক সহায়তা বিতরণের জন্য আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত দুই দেশের প্রচেষ্টা নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত থাকবে।’

প্রসঙ্গত, ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় এবং ১৯৮০ সালে সমগ্র শহরটিকে ইসরায়েলের ‘একক ও চিরন্তন রাজধানী’ হিসেবে ঘোষণা করে। তবে ফিলিস্তিনিরা ঐতিহাসিক এই শহরের পূর্ব অংশকে নিজেদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দেখে থাকে।

তবে জেরুজালেম নগরীর বিশেষ বা আন্তর্জাতিক কোনও মর্যাদা থাকার বিষয়টি ইসরায়েল ক্রমাগত প্রত্যাখ্যান করে এসেছে। যদিও এই শহরটি খ্রিস্টান, মুসলিম এবং ইহুদিদের কাছেও খুবই পবিত্র।

টিএম