প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ নিতে ব্রাজিলে মরদেহ নিয়ে ব্যাংকে হাজির হয়েছিলেন এক নারী। এরিকা ভিয়েরা নুনেস নামের ওই নারীকে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাংক থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ৬৮ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মরদেহ নিয়ে ব্যাংকে আসেন। এরপর ব্যাংক কর্মকর্তার সামনে ওই মরদেহকে দিয়ে লোনের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করানোর অভিনয় করতে থাকেন তিনি।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ।  

ওই মরদেহটি রিও ডি জেনেরিওর একটি ব্যাংকে হুইলচেয়ারে করে নিয়ে আসেন এরিকা ভিয়েরা নুনেস। এরপর তিনি ব্যাংক কর্মকর্তাকে বলেন, এই বৃদ্ধ তার আংকেল এবং তিনি ১৭ হাজার রিয়েস লোন চান।

এরপর তিনি মরদেহটির হাতে একটি কলম দিয়ে বলেন, “আংকেল, আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন? আপনাকে স্বাক্ষর করতে হবে।”

ওই সময় ব্যাংক কর্মকর্তাকে বলতে শোনা যায়, “আমার মনে হচ্ছে ওনি সুস্থ নয়। তাকে খুবই ফ্যাকাশে দেখা যাচ্ছে। তিনি তো কিছুই বলছেন না।”

তখন ওই নারী বলেন, “ওনি কিছু বলেন না। ওনি এমনই। (আংকেল) আপনি যদি সুস্থ বোধ না করেন তাহলে আপনাকে আমি হাসপাতালে নিয়ে যাব।“

কিন্তু ওই ব্যক্তির মাথা বারবার নিচে পরে যাওয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তাদের সন্দেহ বাড়ে। তারা তখন পুলিশকে খবর দেন এবং পুলিশ এসে নারীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।

ওই নারীর বিরুদ্ধে মরদেহকে অসম্মান এবং প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে ওই বৃদ্ধ কিভাবে মারা গেছেন সেটি জানা যায়নি।

ফাবিও লুইজ সৌজা নামের এক তদন্তকারী কর্মকর্তা বোম দা রিও নামের সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “নারীটি জানতেন ওই বৃদ্ধ মারা গেছেন। ব্যাংকে আসার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে তিনি মারা যান। আমি আমার ২২ বছরের ক্যারিয়ারে এমন কিছু দেখিনি।”

এই তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই নারী আসলেই কি বৃদ্ধের কোনো আত্মীয় ছিলেন কি না সেটি এখন তদন্ত করা হচ্ছে।

অভিযুক্ত নারীর আইনজীবী দাবি করেছেন, ব্যাংকে আসার পর বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশের একটি ফরেনসিক পরীক্ষায় জানা গেছে, ব্যাংকে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল।

সূত্র: স্কাই নিউজ

এমটিআই