প্রায় ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। সেই আগ্রাসনের মধ্যেই ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানীতে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবে রোববার গভীর রাতে সরাসরি ইসরায়েলের ওপর হামলা শুরু করেছে তেহরান। 

গত বছর ৭ অক্টোবর সকাল সকাল হাজার হাজার রকেট গাজা ভূখণ্ড থেকে উড়ে এসেছিল দক্ষিণ ইসরায়েলে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল ইজরায়েলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। হামাস যোদ্ধারা সীমান্তের বেড়া কেটে ইজরায়েলে ঢুকে পড়ে। অনেককে বন্দি করে নিয়ে যায়।

এরপর ইসরায়েলও পালটা হামলা চালায়। শুরু হয় যুদ্ধ। কয়েক হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে এতে। গাজায় যে পরিস্থিতি, তাতে আইসক্রিম ট্রাকগুলো চলমান মর্গে পরিণত হয়েছে। 

এর মধ্যেই নতুন বার্তা দিয়েছেন হামাস নেতা খালেদ মিশাল। ইসমাইল হানিয়ার সন্তানদের শোকানুষ্ঠানে যোগ দিয়ে খালেদ মিশাল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গাজা উপত্যকায় ছয় মাসের ইসরায়েল বিরোধী যুদ্ধ এই দখলদার শক্তিকে শিগগিরই তছনছ করে দেবে।

হামাসের প্রবাসী পলিটব্যুরো প্রধান মিশাল কাতারের রাজধানী দোহায় অপর হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার নিহত তিন ছেলের এক শোকানুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন। 

গত বুধবার ঈদের দিন গাজা সিটিতে ইসরাইলি বিমান হামলায় হানিয়ার তিন ছেলে ও একাধিক নাতি-নাতনি নিহত হন।

চলমান গাজা যুদ্ধের প্রতি ইঙ্গিত করে খালেদ মিশাল বলেন, এটি চূড়ান্ত পর্ব নয়। তবে ইহুদিবাদীদের প্রকল্প ব্যর্থ করে দিয়ে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করার পথে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব।

এদিকে হামাসের মুখপাত্র আব্দুল লতিফ আল-কানু বলেছেন, গাজা আগ্রাসনে ইহুদিবাদী ইসরায়েল সব ধরনের আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, দখলদার ইহুদিবাদীরা ঈদুল ফিতরের দিনও গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে। মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ না করে তারা ঈদের দিন নির্বিচার বোমাবর্ষণ করে শত শত গাজাবাসীকে হত্যা করেছে।

এমএসএ