সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানীতে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবে রোববার (১৪ এপ্রিল) গভীর রাতে সরাসরি ইসরায়েলের ওপর এই হামলা শুরু করেছে তেহরান। ইরানের হামলা মোকাবিলায় মিত্র আমেরিকাকে পাশে পেয়েছে ইসরায়েল। এছাড়া এই ঘটনার পর আরও দুই দেশ ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। দেশ দুটো হলো, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। 

এই দুদেশের পক্ষ থেকেই ইসরায়েলে ইরানের হামলার সমালোচনা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, আমেরিকা, ব্রিটেনের সেনারা গুলি করে ইরানের একের পর এক ড্রোন ধ্বংস করছে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশের সামরিক বাহিনী। 

ইরানের হামলার খবর পেয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ইতোমধ্যে ফোনে কথা বলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রোববার প্রায় ২০০ ড্রোন দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ছোড়া সেই ড্রোন আকাশে কয়েক ঘণ্টার পথ পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছবে। 

জেরুজালেমে শোনা গেছে যুদ্ধের সাইরেনের শব্দ। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে কিছু দিন আগে ইসরায়েলের বোমাবাজির পাল্টা হিসাবেই রোববারের এই হামলা বলে জানিয়েছে ইরানের বাহিনী। সেই সঙ্গে তেহরানের তরফে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের হয়ে যে দেশ অস্ত্র ধরবে, ইরান তাদেরও ছেড়ে দেবে না।

এদিকে ইরানের এই হামলার খবরে রোববার রাতেই জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ। ইজরায়েলের অনুরোধেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। রোববার রাত ৯টা নাগাদ সেই বৈঠক হওয়ার কথা, যেখানে থাকবেন ইসরায়েল, আমেরিকা-সহ একাধিক দেশের প্রতিনিধি।

এদিকে আমেরিকা ইরানি হামলার বিরোধিতা করেছে। তারা জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ইসরায়েলের দিকে এগিয়ে যাওয়া একাধিক ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে আমেরিকান সেনারা। 

হোয়াইট হাউসের বিবৃতি অনুসারে, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ ‘বন্ধু’ ইসরায়েলের উপরে ইরানের যে হামলা আছড়ে পড়বে, আমেরিকা তার মোকাবিলা করবে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর আমেরিকার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। তিনি গোটা পরিস্থিতির তদারকি করছেন।

আমেরিকার মতোই ইসরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে ব্রিটেন। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক জানিয়েছেন, ব্রিটেনের সেনাবাহিনীও ইতোমধ্যে আকাশপথে বেশ কয়েকটি ইরানি ড্রোন ধ্বংস করেছে। ইরানের এই হামলার নিন্দা করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েল ও তার সঙ্গী জর্ডন ও ইরাকের পাশে থাকবে ব্রিটেন।

ইরানের হামলা প্রসঙ্গে কড়া অবস্থানের কথা জানিয়েছেন নেতানিয়াহুও। একটি বিবৃতিতে তিনি দাবি করেছেন, ইরানের দিক থেকে আসা সমস্ত রকম হামলার মোকাবিলা করতে তিনি প্রস্তুত। সেই সঙ্গে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্সকে পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।

সূত্র: আনন্দবাজার

এমএসএ