একটি ইরানি ড্রোন (ফাইল ছবি)

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইরান। সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানীতে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবে রোববার (১৪ এপ্রিল) গভীর রাতে সরাসরি ইসরায়েলের ওপর এই হামলা শুরু করে তেহরান।

হামলার সময় ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরান দুই শতাধিক মিসাইল ও ড্রোন নিক্ষেপ করে এবং এতে ইসরায়েলের একটি সামরিক ঘাঁটি ‘কিছুটা’ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইরানের নজিরবিহীন হামলার বিষয়ে দেওয়া আপডেটে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী একথা জানিয়েছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইরানি হামলায় তাদের সামরিক ঘাঁটির ‘সামান্য ক্ষতি’ হয়েছে বলে ইসরায়েল জানিয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইরান ইসরায়েলে ২০০ টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং তাদের ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ‘অংশীদারদের’ সহায়তায় আটকে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘কিছু সংখ্যক ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে পড়েছে, যার ফলে একটি সামরিক ঘাঁটির সামান্য ক্ষতি হয়েছে, তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। শুধুমাত্র একটি ছোট মেয়ে আহত হয়েছে, এবং আমরা আশা করি সে ভালো হয়ে যাবে।’

এদিকে পরে নতুন করে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর বেশিরভাগকেই ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করার আগে এই অঞ্চলের কৌশলগত মিত্রদের সাথে তার ‘অ্যারো’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে আটকে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, ‘অ্যারো’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি ধীর গতিতে চলা ড্রোনের পরিবর্তে ব্যাপক উচ্চতায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। গাজা যুদ্ধের শুরুতে ইয়েমেন থেকে নিক্ষেপ করা হুথিদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে ভূপাতিত করতে ইসরাইল অ্যারো সিস্টেম ব্যবহার করেছিল।

টিএম