ফাইল ছবি

দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর শক্তিশালী ও দ্রুতগতির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান।

রোববার (১৪ এপ্রিল) অবৈধ দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রথমে শতাধিক ড্রোন ছোড়ে ইরান। যেগুলো ইসরায়েলে পৌঁছাতে ৯ ঘণ্টার মতো সময় লাগবে। এরপর ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তারা৷ যেগুলো অবৈধ দখলদারদের অবকাঠামোতে দুই ঘণ্টার মধ্যে আঘাত হানার কথা রয়েছে। ড্রোন ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ডের সেনারা।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ইরান থেকে ছোড়া উচ্চ গতিসম্পন্ন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মাত্র ১২ মিনিটে ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম। যদি ইসরায়েলিরা তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে এসব ক্ষেপণাস্ত্র আটকে দিতে না পারে তাহলে বড় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হবে ইসরায়েল।

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে জানিয়েছিলেন, ইরান ১০০ ড্রোন এবং কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েলে হামলা চালাবে। তাদের সেই গোয়েন্দা তথ্য সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।

তবে দখলদার ইসরায়েল জানিয়েছে, ইরান থেকে যেসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে সেগুলো তাদের সীমানায় পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

ইরানের এই বড় হামলা ইসরায়েল প্রতিহত করতে পারে কি না, এখন সেটিই দেখার বিষয়।

উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন। এরপরই হামলার জবাব দিতে সরাসরি ইসরায়েলে হামলার প্রস্তুতি শুরু করে ইরান।

এমটিআই