পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৫ জন চীনা এবং এক পাকিস্তানি নাগরিক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার প্রদেশের শাংলা জেলার বিশাম তহশিলে (উপজেলা) ঘটেছে এই ঘটনা।

শাংলা জেলার পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ আলী গান্দাপুর জানান, পাঁচ চীনা নাগরিককে বহনকারী একটি গাড়িবহর রাজধানী ইসলাবাদ থেকে খাইবার পাখতুনখোয়ার দাসু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্দেশে রওনা হয়। যাত্রাপথে বিশাম এলাকায় প্রবেশের পর আচমকা সেই বহরটিতে প্রবেশ করে বিস্ফোরকভর্তি একটি গাড়ি। প্রবেশের অল্প সময়ের মধ্যেই সেটি বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের ধাক্কায় চীনা নাগরিকদের বহনকরা গাড়িটি সড়কে পাশের খাদে পড়ে যায় এবং আগুন ধরে যায় গাড়িটিতে।

নিহত ৫ চীনা নাগরিক গাড়িটির যাত্রী ছিলেন, আর চালক ছিলেন একজন পাকিস্তানি নাগরিক। সবাই নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রাদেশিক পুলিশ।

গান্দাপুর জানান, বিস্ফোরণের পরপরই প্রাদেশিক পুলিশ সেখানে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা চালানো এবং আলামত সংগ্রহের কাজ করেছেন।

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রাদেশিক পুলিশের অপর কর্মকর্তা বখত জহির পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনকে বলেন, ‘কোথা থেকে এবং কীভাবে এই বোমাবাহী গাড়িটি চীনা গাড়িবহরে ঢুকল, তা জানতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।’

এদিকে এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি, পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিকসহ পাকিস্তান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘শত্রুরা পাকিস্তানের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও ঘনিষ্ট মিত্রদেশের নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। এটা কেবল চীনের নাগরিকদের ওপর নয়, পাকিস্তানের ওপরও হামলা। সরকার এই হামলার সমুচিত জবাব দেবে।’

এর আগে ২০২১ সালে চীনা নাগরিকদের বহনকারী একটি বাসে বোমা হামলা হয়েছিল। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১৩ জন চীনা। এরা সবাই দাসু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান ছিলেন।

সূত্র : রয়টার্স, ডন

এসএমডব্লিউ