সৌদি আরবের বিমানঘাঁটি কিং খালিদ এয়ারবেস এবং রাষ্ট্রায়ত্ব তেল উত্তোলন ও শোধনাগার প্রতিষ্ঠান আরামকোতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। শুক্রবার এই হামলা করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে জানিয়েছেন হুথি বিদ্রোহী বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারী।

টুইটবার্তায় ইয়াহিয়া সারী জানান, ইয়েমেন হুথি বাহিনীর তৈরি কাসেফ-২ কে নামের দুটি ড্রোন দেশটির খামিস মুশায়িত শহরে কিং খালিদ বিমানঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ ও স্পষ্টকাতর লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি দেশটির জিজান শহরে তেল উত্তলোন ও শোধানাগার প্রতিষ্ঠান আরামকোতে আঘাত করেছে সামাদ-৩ ড্রোন।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার সৌদি আরবের কিং খালিদ বিমানঘাঁটি ও আরামকোকে লক্ষ্য করে তিন দফা ড্রোন হামলা করেছে হুথি বিদ্রোহীরা। এর মধ্যে কিং খালিদ বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে দু’দফায়।

সৌদি রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল এক বার্তায় জানিয়েছে, প্রথম দফায় হামলাকারীরা ব্যবহার করেছিল লাদেন ড্রোন। সেই হামলা অকার্যকর করতে সক্ষম হয়েছে সৌদি সেনাবাহিনী। তবে দ্বিতীয় দফায় বিমানঘাঁটি ও আরামকোতে হামলার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি সৌদি সামরিক কর্তৃপক্ষ।

এর আগে দেশটির সামরিক বাহিনী বলেছিল, হুথিদের অধিকাংশ মিসাইল এবং ড্রোন হামলা ইতোমধ্যে অকার্যকর করে দেওয়া হয়েছে।

টুইটারে হুথি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারী বলেন, ‘সৌদি আরব এবং তার মিত্ররা যতক্ষণ পর্যন্ত আগ্রাসন বন্ধ ও অবরোধ তুলে না নেবে ততক্ষণ পর্যন্ত পাল্টা হামলা অব্যাহত থাকবে।’

২০১৪ সালে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করে নিলে দেশটির সরকারের অনুরোধে ২০১৫ সালে ইয়েমেনে হুথিদের দমন করতে অভিযানে নামে সৌদি নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী। সে সময় থেকেই ইয়েমেন-সৌদি আরব সীমান্তবর্তী এলাকা মারিব থেকে সৌদি আরবের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে চোরাগুপ্তা ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালাচ্ছে হুথি বিদ্রোহীরা।

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপন ও ইয়েমেন চলমান দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়পক্ষকেই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে আসতে চাপ দিচ্ছে। রিয়াদের পক্ষ থেকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাবও করা হয়েছে।

কিন্তু হুথি বিদ্রোহীগোষ্ঠীর নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন, ইয়েমেনে সৌদি আরবের দখলদারিত্বের অবসান ও দেশটির জল ও আকাশপথে সৌদি অবরোধ না সরা পর্যন্ত হুথিরা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে আসবে না।

সূত্র: রয়টার্স, আনাদোলু এজেন্সি

এসএমডব্লিউ