ইসলামে পবিত্র স্থানগুলোর একটি হলো মদিনার মসজিদে নববী। হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর রওজার পাশে অবস্থিত এ মসজিদটিতে প্রতিদিন নামাজ আদায় করেন হাজার হাজার মুসল্লি। রমজান মাস আসার পর এখানে মুসল্লিদের ভিড় আরও বাড়ে। নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা যেন গরমে কষ্ট না পান সেজন্য মসজিদে নববীতে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এসি ব্যবস্থা।

প্রকোশল বিদ্যার অন্যান্য এক দৃষ্টান্ত এই এসি ব্যবস্থা। যা ছড়িয়ে রয়েছে পুরো মসজিদজুড়ে।

মসজিদে নববীর মুসল্লিদের জন্য আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করা সৌদির সরকারের একটি অন্যতম বড় লক্ষ্য।

 

মূল মসজিদে থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই কেন্দ্রীয় এসি ব্যবস্থা স্টেশনটি। যা ৭০ হাজার স্কয়ার মিটার বিস্তৃত।

 

এই স্টেশনটিতে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কনসেনডার (বাষ্পকে ঠান্ডা পানিতে পরিণত করার যন্ত্র)। সঙ্গে রয়েছে ছয়টি শক্তিশালী চিলার (ঠান্ডা পানি সরবরাহের ব্যবস্থা)। যেগুলোর একেকটি ৩ হাজার ৪০০ টন পানি প্রসেস করতে পারে। এসব চিলার পানি ঠান্ডা করে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনে।

 

এতে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। আর এটি ব্যবহার করে সবজায়গায় ঠান্ডা পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়। ঠান্ডা পানি পাঠানো হয় ১৫১টি এয়ার হ্যান্ডলিং ইউনিটে। যেগুলো মসজিদের পিলারের ভেতর থাকা পাইপে পানিগুলো পাঠায়।

 

মসজিদের উন্মুক্তস্থানের বড় একটি অংশজুড়ে রয়েছে ৪৩৬টি মিস্টিং পাখা। যেগুলো মুসল্লিদের জন্য একটি আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে।

 

মসজিদে নববীর দায়িত্বে থাকা জেনারেল অথরিটি এই এসি ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য সৌদি আরবের প্রকৌশলী এবং প্রযুক্তিবিদদের একটি নিবেদিত দলকে নিয়োগ করেছে। যারা মুসল্লিদের আরামের পুরো বিষয়টি দেখভাল করেন এবং দক্ষতার সঙ্গে পুরো ব্যবস্থাটি পরিচালনা করেন।

সূত্র: গালফ নিউজ

এমটিআই