মেয়ের আত্মহত্যার পর স্বামীর বাড়িতে আগুন দিল পরিবার, নিহত ২
বিয়ের এক বছর পার হতে না হতেই আত্মহত্যা করলেন স্ত্রী। আর এই খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা হামলা করল স্বামীর বাড়িতে। একপর্যায়ে তাদেরই ধরিয়ে দেওয়া আগুনে ঘরের মধ্যে দগ্ধ হয়ে মারা গেলেন কয়েক ঘণ্টা আগে প্রাণ হারানো পুত্রবধূর শ্বশুর-শাশুড়ি।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে এক নারীর আত্মহত্যার কয়েক ঘণ্টা পরে তার পরিবার তার স্বামীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে এবং তার শ্বশুর-শাশুড়িকে হত্যা করেছে বলে মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে।
— NDTV News feed (@ndtvfeed) March 19, 2024
আত্মহত্যা করা ওই নারীর নাম আংশিকা কেসারওয়ানি। সোমবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে আংশিকাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে হয়েছিল তার।
এনডিটিভি বলছে, আংশিকার মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই তার আত্মীয়রা তার শ্বশুরবাড়িতে ছুটে আসে এবং যৌতুকের জন্য এই তরুণীকে হয়রানি করার এবং তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগ তোলে।
ঝগড়া বাড়তে থাকলে একপর্যায়ে আংশিকার আত্মীয়রা তার শ্বশুরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আগুন নেভানোর পর তার শাশুড়ি ও শ্বশুর দুজনকেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
প্রয়াগরাজ শহরের ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ দীপক ভুকার বলেছেন, একজন নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে তারা রাত ১১ টায় ফোন পেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘পুলিশের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর উভয় পক্ষের লোকজনকে মারামারি করা অবস্থায় দেখতে পায়। তর্কাতর্কি চলাকালে একপর্যায়ে লোকজন ওই নারীর শ্বশুর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে পাঁচজনকে উদ্ধার করে এবং ফায়ার ব্রিগেডকে খবর দেয়।’
আরও পড়ুন
দীপক ভুকার বলেন, অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা ভোর ৩ টার দিকে আগুন নিভিয়ে ফেললে পুরো বাড়িটি তল্লাশি করা হয় এবং সেখান থেকে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত দুজনকে আংশিকার শ্বশুর রাজেন্দ্র কেসারওয়ানি এবং তার শাশুড়ি শোভা দেবী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও পুলিশের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
টিএম