‘আমরা খেতে চাই’, মিসরীয় সেনাদের কাছে গাজার শিশুর আর্তনাদ
গাজা ও মিসরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির ওপর দাঁড়িয়ে খাবার চেয়ে চিৎকার করেছে এক ফিলিস্তিনি শিশু।
কেউ একজন এই ঘটনাটি ভিডিও করেন। সেটিতে শিশুটিকে বলতে শোনা যায়, “আমি এখন মরতে চাই, আমরা খেতে চাই, আমরা বাঁচতে চাই। কেন… খাওয়ার জন্য খাবার নেই আমার ভাই? আমরা খেতে চাই।”
বিজ্ঞাপন
শনিবার (১৬ মার্চ) ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
জাতিসংঘের গাজাভিত্তিক সংস্থা গত কয়েকদিন ধরে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছে গাজার বেশিরভাগ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে এবং সেখানে দুর্ভিক্ষ খুবই সন্নিকটে রয়েছে।
এদিকে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের শীর্ষ নেতারা বিরল বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যদি দখলদার ইসরায়েল গাজার রাফাহতে কোনো সামরিক আগ্রাসন চালায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যৌথ হামলা চালানো হবে।
শনিবার (১৬ মার্চ) পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বার্তাসংস্থা এপিকে এ তথ্য জানিয়েছে হামাসের একটি সূত্র। তাদের বৈঠকটি হয়েছে লেবাননে।
এপি পরবর্তীতে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা বৃদ্ধি এবং ইসরায়েলকে ঘিরে ফেলার ব্যাপারে হামাস-হুথিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন
নাম গোপন রাখা ফিলিস্তিনি সূত্রটি জানিয়েছেন, ‘বিশেষ করে রাফাহতে ইসরায়েল আগ্রাসন চালালে ফিলিস্তিনি দলগুলোর সঙ্গে হুথিদের সম্পূরক হামলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এর এক মাস পর নভেম্বর থেকে গাজাবাসীর পক্ষে এডেন উপসাগর ও লোহিত সাগরে ইসরায়েলি মালিকানাধীন এবং ইসরায়েলগামী জাহাজে হামলা চালানো শুরু করে হুথি বিদ্রোহীরা। ওই সময় ইসরায়েলের পক্ষে হুথিদের বিভিন্ন অবকাঠামোয় যৌথ হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য। এরপর থেকে এ দুটি দেশের জাহাজেও হামলা চালানো শুরু করে তারা।
তাদের হামলার কারণে লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটেছে। যার প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ওপরও পড়েছে।
হুথি, হামাস এবং ইসলামিক জিহাদ সবগুলোই ইরানের ‘প্রতিরোধের অংশ।’ এসব গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী ভাবাপন্ন। এই দলে রয়েছে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহও।
সূত্র: আলজাজিরা
এমটিআই