যেকোনো ধূমপানে সুখের চেয়ে অসুখের সম্ভাবনাই বেশি থাকে। বেশিরভাগ মানুষের ধারণা সিগারেট বেশি ক্ষতিকারক। আর বিড়িতে তুলনায় কম তামাক থাকে। তাছাড়া তামাক পাতা দিয়েই তৈরি হয় বলে সেটি প্রাকৃতিক। সাধারণ মানুষের এমন ধারণার ঠিক উল্টো তথ্য দিলেন গবেষকরা। তাদের বক্তব্য, একটি সিগারেটের তুলনায় আট গুণ বেশি ক্ষতিকারক একটি বিড়ি।

বুধবার (১৩ মার্চ) ‘নো স্মোকিং ডে’। তার আগেই সামনে এলো এ গবেষণা। যেখানে বলা হয়েছে, একটি বিড়ি শতভাগ তামাক পাতায় তৈরি হয় বলে ক্ষতিও বেশি। সে কারণে বিড়িতে সুখটান দিলে অতিরিক্ত চাপ পড়ে ফুসফুসে।

উল্লেখ্য, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া, তুলনায় কম আয় করা মানুষরাই বিড়িপান করে থাকেন।

ভারতের দিল্লির বল্লভভাই প্যাটেল চেস্ট ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক রাজেন্দ্র প্রসাদ বলেন, বিড়ি হোক বা সিগারেট, দুটিই প্রাণঘাতী। কিন্তু পুরোটাই তামাক পাতার হওয়ায় অনেক বেশি ধোঁয়া উৎপন্ন হয় বিড়িতে, যা শ্বাসের মাধ্যমে শরীরের ভেতরে টেনে নেন একজন ধূমপায়ী। এর ফলেই ফুসফুসের ভয়ংকর ক্ষতি হয়।

তিনি জানান, যদিও সিগারেটের তুলনায় বিড়িতে চার গুণ কম তামাক থাকে। তবে ক্ষতিটা বিড়িপানেই বেশি হয়।

রাজেন্দ্র বলেন, যদি বিড়ি ও সিগারেটে একই পরিমাণ তামাক ভরা হয়, তবে সিগারেটের তুলনায় বিড়িতেই ক্ষতি হবে বেশি।

উল্লেখ্য, বিড়িপান জিহ্বা, গলা, মুখের, খাদ্যনালির, পাকস্থলী এবং ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। বিড়ি শ্বাসনালীর ক্ষতি করে। বিড়ির ধোঁয়ায় ফুসফুসের কার্যকারিতা দুর্বল হয়ে পড়ে। এছাড়াও করোনারি ধমনি রোগ এবং তীব্র মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনের (হার্ট অ্যাটাক) ঝুঁকি বাড়ায়।

এসএসএইচ