ঐতিহ্যগত মিত্র রাশিয়ার সাথে উত্তেজনার মুখে পশ্চিমের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় ককেশাস অঞ্চলের দেশ আর্মেনিয়া। এ জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করার কথা বিবেচনা করছে দেশটি। শুক্রবার আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরারাত মিরজোয়ান ইইউতে তার দেশের যোগদানের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।

পূর্ব ইউরোপের দেশ আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, জর্জিয়া ও রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের কিছু অংশের সম্মিলিত ভূখণ্ড ককেশাস অঞ্চল হিসাবে পরিচিত।

তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরারাত মিরজোয়ান বলেছেন, ‌‌‘‘বর্তমানে আর্মেনিয়ায় অনেকগুলো নতুন সুযোগ নিয়ে আলোচনা চলছে। আমি যদি বলি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাওয়ার আলোচনাও এর মধ্যে আছে, তাহলে তা গোপন থাকবে না।’’

তুরস্কের ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলবর্তী শহর আন্তালিয়ায় বৈশ্বিক এক কূটনৈতিক ফোরামের বৈঠকের ফাঁকে এসব কথা বলেছেন তিনি। ২০১৮ সালে আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর থেকে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দেশটির সম্পর্ক আরও গভীর করেছেন। পাশাপাশি আর্মেনিয়ার ঐতিহ্যগত মিত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে বারবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।

আর্মেনিয়া বলেছে, মস্কোর সাথে তাদের মিত্রতা থাকলেও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতি সমর্থন নেই আর্মেনিয়ার। একই সঙ্গে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান তার সরকারকে রাশিয়া দুর্বল করে তুলছে বলে অভিযোগও করেছেন।

আর্মেনিয়ার দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী আজারবাইজানের সাথে সংঘাতে ইয়েরেভানের পাশে দাঁড়াতে  রাশিয়া ব্যর্থ হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন নিকোল। ২০২০ সালে ককেশাসের নাগোরনো-কারাবাখ এলাকার দখল নিয়ে যুদ্ধ বাঁধে প্রতিবেশি দুই দেশ আর্মেনিয়া ও আজেরবাইযানের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধে। সেই যুদ্ধের ককেশাস অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও নড়বড়ে হয়ে পড়ে।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস