বিয়ের পিঁড়ি সাজানো থেকে শুরু করে রান্নাবান্না সব আয়োজনই করে ফেলেছে পাত্রীপক্ষ। অপেক্ষা গায়ে হলুদের। কিন্তু পাত্রের বাড়ি থেকে হলুদ আসতে কেন এত দেরি? খোঁজ নিতে গিয়ে যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল পাত্রীপক্ষের। 

খবর পেলেন, ধর্ষণের অভিযোগে হবু জামাইকে আটক করেছে পুলিশ। শেষ মুহূর্তে মেয়ের বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন পাত্রীর মা। বিয়ে বাড়িতে আসা অতিথিরা বাড়ি ফিরলেন মন খারাপ করে।

সোমবার (৪ মার্চ) এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের হুগলি জেলার বৈদ্যবাটিতে।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সোমবার বৈদ্যবাটির বাসিন্দা সংযুক্তার (নাম পরিবর্তিত) সঙ্গে ত্রিবেণীর বাসিন্দা বিকাশ অধিকারীর (নাম পরিবর্তিত) বিয়ে ছিল। পাত্রীর পরিবার জানায়, গত বছরের নভেম্বর মাসে মেয়ের বিয়ের জন্য পাত্র দেখাশোনা শুরু হয়। বিয়ের পাকা কথা হয় ত্রিবেণীর অধিকারী বাড়ির এক ছেলের সঙ্গে। 

সোমবার সকালে গায়ে হলুদের তোড়জোড় চলছিল। অতিথিদের জন্য রান্নাবান্নার সমস্ত আয়োজনও শেষ। কিন্তু ছেলের বাড়ি থেকে গায়ের হলুদ আসছে না দেখে খোঁজখবর শুরু করে মেয়ের পরিবার। এভাবেই বেলা বাড়ছিল। শেষে দুপুর ২টা নাগাদ ছেলের বাড়ি থেকে হলুদ নয়, এলো ফোন। 

তাতে জানানো হয়, পুলিশ পাত্রকে আটক করে নিয়ে গেছে। পরে জানা যায়, তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিন্তু গ্রেপ্তারের কারণ জানানো হয়নি ফোনে। সঙ্গে সঙ্গে মেয়ের পরিবার মেয়েকে নিয়ে হাজির হয় ছেলের বাড়িতে। কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা যা শোনেন, তারপর আর ওই পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা ভাবতে পারেননি।

পুলিশ সূত্রে খবর, নয় বছর ধরে এলাকার এক যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অভিযুক্তের। বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। রোববার (৩ মার্চ) রাতেই অভিযোগকারী থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সকালে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুরো ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে পাত্রীর পরিবার। পাত্রীর মা কমলা দেবী (নাম পরিবর্তিত) বলেন, বক্স খাট, আলমারি থেকে আরও যা যা যৌতুক চেয়েছিল ছেলে, সেই মতো সবই কেনা হয়েছে। এত আয়োজন, আত্মীয়-স্বজন নিমন্ত্রিত। আমাদের অনেক টাকা খরচ হলো। মানসম্মানও হানি হলো। আমরা শাস্তি চাই ওই যুবকের। 

অন্যদিকে, কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি পাত্রপক্ষ।

কেএ