দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিসরের রাজধানী কায়রোতে আলোচনা চলছে। গতকাল রোববার (৩ মার্চ) মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর সঙ্গে হামাসের প্রতিনিধিদের বৈঠক শুরু হয়। এতে যোগ দেননি ইসরায়েলের কোনো প্রতিনিধি। তা সত্ত্বেও আলোচনাটি শুরু হয় এবং এটি আজও চলছে।

তবে হামাসের এক জ্যেষ্ঠ নেতা লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল মায়দীনকে বলেছেন, ‘আলোচনায় কোনো ধরনের অগ্রগতি’ দেখা যায়নি।

তিনি এজন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন। এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, “ইসরায়েল হামাসের দাবির ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো উত্তর দিচ্ছে না। ফলে আলোচনায় কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।”

হামাস দাবি করেছে, ইসরায়েল যদি যুদ্ধ না চায় তাহলে তাদের পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে হবে, সব সেনাকে গাজা থেকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে এবং গাজার সাধারণ মানুষকে তাদের নিজ ঘরবাড়িতে ফেরার সুযোগ দিতে হবে।

অপরদিকে ইসরায়েল এখন দাবি করছে, তাদের জীবিত ও মৃত জিম্মিদের তালিকা দেওয়ার জন্য। তবে হামাস জানিয়েছে, এ মুহূর্তে তারা কোনো ধরনের তালিকা দিতে পারবে না। কারণ জিম্মিদের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা হামলার কারণে অনেক জিম্মি হয়ত মারাও গেছেন। ফলে কতজন বেঁচে আছেন আর কতজন প্রাণ হারিয়েছেন; এ তথ্য এখন তাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। যখন যুদ্ধবিরতি হবে তখনই তারা জীবিত ও মৃত জিম্মিদের ব্যাপাারে জানাতে পারবে।

পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ যুদ্ধ বন্ধে মিসর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করছে। মিসরে যখন গতকাল আবারও যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হয় তখন অনেকে আশা করেছিলেন, আবার হয়ত যুদ্ধ থামবে এবং সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারবেন।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

এমটিআই