ইসরায়েলি বাহিনীর গত পাঁচ মাসের অভিযানে গাজা উপত্যকায় মোট নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩০ হাজার ৫৩৪ জনে; সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন মোট ৭১ হাজার ৯৮০ জন।  

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণে উপত্যকায় ১২৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে সামরিক-বেসামরিক ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিকসহ ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জন ইসরায়েলি এবং অন্যান্য দেশের নাগরিককে।

১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর গত ৭৫ বছরের ইতিহাসে সেদিন প্রথম একদিনে এতজন মানুষের হত্যা দেখেছে ইসরায়েল। অভূতপূর্ব সেই হামলার জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী এবং তার এক সপ্তাহ পর বিমান বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।

সেই অভিযানেই নিহত হয়েছেন এই ৩০ হাজার ৫৩৪ জন। নিহতদের একটি বড় অংশই নারী,শিশু,কিশোর-কিশোরী এবং বেসামরিক লোকজন।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক প্রচেষ্টায় গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মানবিক বিরতি ঘোষিত হয়েছিল গাজায়। সে সময় ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তার পরিবর্তে বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ১৫০ জন ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দিয়েছে ইসরায়েলও।

হিসেব অনুযায়ী, এখনও ১৩২ জন জিম্মি রয়েছেন হামাসের কব্জায়। তাদের ছাড়িয়ে আনতে গাজায় রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই দ্বিতীয় দফায় ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি হওয়ার কথা রয়েছে।

তবে হামাস গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চাইছে। অন্যদিকে যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলে আসছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় করার আগ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান বন্ধ হবে না।

সূত্র : এএফপি, আল আরাবিয়া

এসএমডব্লিউ