পাকিস্তানের করাচিতে তর্কতর্কির সময় এক মেয়ে শিক্ষার্থীর শরীরে এসিড নিক্ষেপ করেছেন এক শিক্ষক।

পাক সংবাদমাধ্যম জিও টিভি রোববার (৩ মার্চ) পুলিশের বরাতে জানিয়েছে, করাচির নিপা চৌরঙ্গী নামক একটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিপা চৌরঙ্গীর একটি আইটি সেন্টারে শিক্ষার্থীর ওপর এসিড হামলা করেন ইফতিখার নামের ওই শিক্ষক। পরবর্তীতে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

ওই শিক্ষার্থীর নাম আলিশা। তিনি ছাড়াও এসিড হামলায় আহত হয়েছেন তার দুই মামা নোমান এবং ফাইজান। তাদের সবাইকে একটি সিভিল হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষার্থীর মামা নোমানের অভিযোগের ভিত্তিতে আজিজ ভাট্টি পুলিশ স্টেশনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশের কাছে দায়ের করা এফআইএর থেকে জানা গেছে, আরিশা ওই আইটি সেন্টারে তার আইট সার্টিফিকেট আনতে যান। কিন্তু ওই সময় তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন সেন্টারের শিক্ষক ইফতিখার এবং আরশাদ। এরপর আরিশা বাড়িতে ফিরে যান এবং তার মামার কাছে এ ব্যাপারে বিচার দেন। এর পরের দিন আরিশার সঙ্গে তার দুই মামা ওই আইটি সেন্টারে যান। ওই সময় সেখানে তাদের মধ্যে তর্ক বাধে। আর তখনই শিক্ষক ইফতিখার তাদের ওপর এসিড ছুড়ে মারেন।

এর আগে গত ৯ জানুয়ারি লাহোরের শাহদারা টাউন এলাকাতে ২২ বছর বয়সী এক শিক্ষিকার ওপর এসিড হামলা হয়। বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওপর এসিড ছড়ে দুর্বত্তরা।

ওই সময় তিনি তার ভাইয়ের সঙ্গে স্কুলে যাচ্ছিলেন। তখন হঠাৎ করে গোলাম ফারুক নামের এক দুর্বত্ত তাকে লক্ষ্য করে এসিড ছোড়েন। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও পরবর্তীতে ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়।

সূত্র: জিও টিভি

এমটিআই