ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া জানিয়েছেন, তারা আলোচনার ক্ষেত্রে নমনীয়তা দেখাচ্ছেন। কিন্তু সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্যও প্রস্তুত আছেন।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) টিভিতে দেওয়া বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন কাতারে বসবাস করা হানিয়া।

দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে এখন হামাসের নতুন যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। গত সপ্তাহে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এই চুক্তির একটি কাঠামোও তৈরি করা হয়। এতে বলা হয়, দুই পক্ষের মধ্যে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি হবে। এই সময়ের মধ্যে হামাস ৪০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অপরদিকে ইসরায়েল কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেবে। বর্তমানে চুক্তিটি পর্যালোচনা করছে হামাস।

ইসমাইল হানিয়া আরব বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, গাজাবাসী যেন ক্ষুধার যন্ত্রণা ভোগ না করেন সেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এছাড়া ‘মিত্র গোষ্ঠী’-দের গাজার হয়ে লড়াই বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে কাতার জানিয়েছিল, দখলদার ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে গাজার মানুষকে অভুক্ত রাখছে।

বর্তমানে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে অবস্থান করছেন হানিয়া। সেখান থেকে তিনি জেরুজালেম ও দখলকৃত পশ্চিমতীরের সাধারণ মানুষকে রমজানের প্রথমদিন আল-আকসা মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায়ের আহ্বান জানিয়েছেন।

দখলদার ইসরায়েল ইতিমধ্যে জানিয়েছে, তারা আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধা দেবে। গত ৭ অক্টোবর থেকে সেখানকার মানুষ রাস্তায় নামাজ পড়ছেন। কারণ তাদের মসজিদের ভেতর প্রবেশই করতে দেওয়া হচ্ছে না।

আগামী ১১ মার্চ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো চাচ্ছে, রমজানের আগে যেন যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়। এতে গাজার সাধারণ মুসল্লিরা নিশ্চিন্তে রমজান মাসটি পার করতে পারবে।

সূত্র: রয়টার্স

এমটিআই