পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের (এনএ) অধিবেশন ডাকতে অস্বীকৃতি জানানোয় দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বুধবার দেশটিতে সরকার গঠনের লক্ষ্যে জোট করা দুই রাজনৈতিক দল নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল) ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এই ঘোষণা দিয়েছে।

পিএমএল-এন এবং পিপিপির নেতা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান না করায় প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বানের সারসংক্ষেপ নিয়ে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির তোলা আপত্তি প্রত্যাখ্যান করেছে বলে পিএমওর একটি সূত্র দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ডনকে জানিয়েছে।

এর আগে, গত সপ্তাহে দেশটির সংসদ বিষয়ক বিভাগ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বানের পরামর্শ দিয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে ওই সারসংক্ষেপ পাঠায়। এর জবাবে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বলেন, সংসদের নিম্নকক্ষ সম্পূর্ণ না হওয়ায় তিনি অধিবেশন আহ্বান করতে পারেন না।

তবে পিএমও এই আপত্তি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে, নির্বাচনের ২১ দিনের মধ্যে এনএর প্রথম অধিবেশন ডাকতে হবে। একই সঙ্গে সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে অধিবেশন আহ্বান করতে পারবেন প্রেসিডেন্ট।

এদিকে, জাতীয় পরিষদের স্পিকার আগামীকাল (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ডাকায় নতুন সরকার গঠন বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে জানিয়েছে ডন। আর পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেন, সংবিধান লঙ্ঘন করায় প্রেসিডেন্ট আলভির বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা দায়ের করা হবে। 

• আইনি পরিণতির হুমকি

 মঙ্গলবার ইসলামাবাদে সুপ্রিম কোর্টের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিলাওয়াল ভুট্টো বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আনার সময় জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ায় প্রেসিডেন্ট আলভির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হবে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে বর্তমানে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন না ডেকে সংবিধান লঙ্ঘন করার দায়ে আরেকটি মামলা দায়ের করা হবে।

তবে প্রেসিডেন্ট আলভিকে অভিশংসনের কোনও পরিকল্পনা পিপিপির নেই বলে জানিয়েছেন বিলাওয়াল। সাংবাদকিদের এক প্রশ্নের জবাবে পিপিপির এই চেয়ারম্যান বলেছেন, তিনি একটি সত্য ও পুনর্মিলন কমিশন গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি ক্ষমতায় আসার পর দেশের সব রাজবন্দিকে মুক্তির অঙ্গীকারও করেছিলেন তিনি।
 
বিলাওয়াল বলেন, কিন্তু দেশের জনগণ আমাকে সেই ম্যান্ডেট দেয়নি। তাই এখন কেবল আমি এটা করার জন্য পরামর্শ দিতে পারি।

সূত্র: ডন।

এসএস