সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্ত্রী এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামাকে আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রায় অর্ধেক সদস্য। সাম্প্রতিক এক জরিপে জানা গেছে এই তথ্য।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও নির্বাচন সংক্রান্ত জরিপ সংস্থা রাসমুসেন রিপোর্টসের সাম্প্রতিক জরিপে জানা গেছে এই তথ্য। জরিপের ফলাফল বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, ডেমোক্রেটিক পার্টির ৪৮ শতাংশ সদস্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিসেবে মিশেল ওবামাকে দেখতে চান। অন্যদিকে বাইডেনকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান ৩৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট।

জনপ্রিয়তার নিরিখে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকেও পেছনে ফেলেছেন মিশেল ওবামা। জরিপে ভোটদাতাদের ২০ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা বাইডেনের প্রার্থিতা বাতিল করে মিশেলকে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে দেখতে আগ্রহী।

কমলা হ্যারিসকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে দেখতে ১৫ শতাংশ ভোটদাতা এবং জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১২ শতাংশ চান আগামী নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক।

২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করে নতুন প্রেসিডেন্ট হন জো বাইডেন। এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বসূরী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে দুই মেয়াদে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, যে কোনো নাগরিক সর্বোচ্চ দুই বার প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী নির্বাচনেও নিজের দল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হতে চান; আর এবারের নির্বাচনেও ডোনাল্ড ট্রাম্প যে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন— তা ও একপ্রকার নিশ্চিত।

তবে নির্বাচনে জো বাইডেনের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা তার বয়স। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বর্তমান বয়স ৭৮ বছর। মার্কিন ভোটারদের অনেকেই মনে করেন, বয়সজনিত কারণে তার এখন রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়া উচিত।

বাইডেন অবশ্য বরাবরই দাবি করে আসছেন যে বয়সজনিত কোনো শারীরিক সমস্যা তার নেই।

তবে ডেমোক্রেটিক পার্টি যে নতুন মুখ খুঁজছে তার আভাস মিলেছে; আর নতুন প্রার্থী হিসেবে মিশেল ওবামা যে দলটির পছন্দের তালিকায় রয়েছেন, তা ও জানা গেছে দলটির সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে।

তবে মিশেল জানিয়েছেন, নির্বাচনের বিষয়টি ভাবলেই তিনি ‘নার্ভাস’ বোধ করেন। গত মাসে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ‘সাধারণ জনগণের মধ্যে একটি ধারণা প্রচলিত রয়েছে যে সরকার তাদের জন্য কিছু্ই করে না। এদিকে আমার মনে হয়, ওহ ঈশ্বর! সরকারের কী সাধারণ জনগণের জন্য সব কিছু করা উচিত হবে? যদি সরকার এই ভূমিকা নেয়, তাহলে তা কী গণতান্ত্রিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে? এসব ব্যাপারে আমি সবসময় বিভ্রান্তি বোধ করি।’

সূত্র : এএফপি, এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড

এসএমডব্লিউ