ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের প্রয়োগ শুরু হতে পারে আগামী মাস থেকে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

আইনটি প্রয়োগ শুরু হলে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যেসব ধর্মীয় সংখ্যালঘু (হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, শিখ, জৈন, ফারসি) ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ধর্মীয়ভাবে নির্যাতিত হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তারা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন।

২০১৯ সালে সংশোধিত এ আইনটি পাস হয়। তবে এর বিরুদ্ধে তখন পুরো ভারতজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল। মূলত এর সঙ্গে ধর্মের সংশ্লিষ্টতা থাকায় অনেকে এটির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন।

তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের দাবি, ধর্মীয়ভাবে নির্যাতিত সংখ্যালঘু, যারা ভারতে পালিয়ে এসেছেন তারা এই আইনের মাধ্যমে উপকারিত হবেন।

আইনটির সমালোচকরা বলছেন, এটির মাধ্যমে মুসলিমদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে এবং ভারতের সংবিধানে যে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা হয়েছে, সেই নীতি ভঙ্গ করা হয়েছে।

নাগরিকত্বের অন্যান্য আইন নিয়ে পুরো ভারতজুড়ে ২০১৯ সালে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। কিন্তু এরপর চীন থেকে উদ্ভব হওয়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর আন্দোলন থেমে যায়।

ওই আন্দোলনের তীব্রতা আরও বাড়ার আগে নাগরিকদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। মূলত পুরো দেশজুড়ে এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালানোর কথা ছিল।

এ বছর ভারতে লোকসভা নির্বাচন হবে। এর আগে আইনটি প্রয়োগ শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনেক সমালোচকের মতে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের উদ্দেশ্যে এমনটি করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছেন, তিনি এখানে এই আইন কখনো প্রয়োগ করতে দেবেন না।

সূত্র: এনডিটিভি

এমটিআই