যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, পবিত্র রমজান মাসে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামলা বন্ধ রাখতে সম্মত হয়েছে দখলদার ইসরায়েল। গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন একটি যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে এই চুক্তিটি পর্যালোচনা করছে হামাস। এরমধ্যেই বাইডেন এই তথ্য জানালেন।

এ সপ্তাহের শুরুতে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির চুক্তির একটি কাঠামো তৈরি করা হয়। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, চুক্তি অনুযায়ী, গাজার হাসপাতাল ও বেকারিগুলো পুনর্গঠিত করতে দেবে ইসরায়েল। এছাড়া সাধারণ মানুষের জন্য প্রতিদিন সেখানে ৫০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করবে।

গত বছরের অক্টোবরে এই যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর নভেম্বরের শেষ দিকে দুই পক্ষ এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি পালন করে। এরপর আবারও ইসরায়েলিদের বর্বরতা শুরু হয়। ওই যুদ্ধবিরতির পর গত সপ্তাহ থেকে নতুন যুদ্ধবিরতির জন্য সবচেয়ে বেশি চেষ্টা চলছে।

আগামী ১০ মার্চ মধ্যপ্রাচ্যে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে। আর শেষ হতে পারে ৯ এপ্রিল।

রমজানে ইসরায়েলিরা হামলা বন্ধ রাখবে এমন দাবি করে বাইডেন স্থানীয় সময় সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বলেছেন, “রমজান আসছে। ইসরায়েলিরা সম্মত হয়েছে রমজানে তারা কোনো ধরনের কার্যক্রম চালাবে না। সঙ্গে জিম্মিদের ছাড়িয়ে নিতে আমাদের সুযোগ দিতেও তারা হামলা বন্ধ রাখবে।”

বাইডেন আরও জানিয়েছেন, গাজায় অসংখ্য ফিলিস্তিনির মৃত্যুর কারণে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক সমর্থন হারাচ্ছে। এছাড়া গাজার সর্বশেষ নিরাপদ স্থান রাফাহতে বড় হামলা চালানোর আগে ইসরায়েল বেসামরিক মানুষদের সরে যাওয়ার সুযোগ দেবে বলে দাবি করেছেন বাইডেন।

এদিকে চুক্তি সংশ্লিষ্ট অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েল হুমকি দিচ্ছে, যুদ্ধবিরতি হলেও তারা রাফাহতে হামলা চালাবে। তবে হামাস চাচ্ছে এই যুদ্ধ এখনই শেষ হোক। আর এ বিষয়টি নিয়েই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি ঝুলে আছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন আরও জানিয়েছেন, তার জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক তাকে জানিয়েছেন, আগামী সোমবারের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হতে পারে। তবে হামাসের একটি সূত্র জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির চুক্তি এখনো চূড়ান্ত হয়নি এবং বাইডেনের এই মন্তব্যকে ‘অকাল’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।

সূত্র: রয়টার্স

এমটিআই