প্রার্থী হওয়ার লড়াইয়ে সাউথ ক্যারোলিনাতেও ট্রাম্পের জয়জয়কার
যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর লড়াইয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সাউথ ক্যারোলিনার প্রাইমারি নির্বাচনেও জয় পেয়েছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এর আগে নিউ হ্যাম্পশায়ার ও আইওয়াতেও জয়যুক্ত হয়েছিলেন ট্রাম্প। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাউথ ক্যারোলিনায় নিকি হ্যালির বিরুদ্ধে বিশাল জয়ের পর রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট মনোনয়নের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার প্রতিপক্ষ নিকি হ্যালির হোম স্টেটে ২০ পয়েন্টের ব্যবধানে জিতেছেন। এটি তার টানা চতুর্থ জয়।
এদিকে প্রাইমারিতে জয়ের পর উদযাপন করার সময় ট্রাম্প তার প্রতিদ্বন্দ্বী হ্যালির নাম উল্লেখ করেননি। এর পরিবর্তে তিনি মূলত আগামী নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের দিকে নজর দেন।
শনিবার রাতে মার্কিন মিডিয়া তাকে বিজয়ী হিসাবে প্রজেক্ট করার কয়েক মিনিট পর ট্রাম্প সমর্থকদের বলেন, ‘আমরা জো বাইডেনকে ঠিক চোখে দেখতে যাচ্ছি। তিনি আমাদের দেশকে ধ্বংস করছেন এবং আমরা বলব ‘জো চলে যাও, তোমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে’।’
এদিকে ট্রাম্প শনিবারের ফলাফলের পরে তার দলের ‘ঐক্যের’ প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন: ‘এরকম মনোভাব কখনও ছিল না। আমি রিপাবলিকান পার্টিকে এতটা ঐক্যবদ্ধ কখনও দেখিনি।’
অবশ্য এই ভোটের আগেই একের পর এক জনমত জরিপে দেখা যায় এখানেও ট্রাম্পই জয়ী হতে যাচ্ছেন। যদিও এই সাউথ ক্যারোলিনা নিকি হ্যালির নিজের অঙ্গরাজ্য এবং এখান থেকে তিনি দুবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
মূলত যুক্তরাষ্ট্রের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন হচ্ছে সাউথ ক্যারোলিনা। সেখানে প্রাথমিক নির্বাচনে জয়ের ফলে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মনোনয়ন পেতে সুবিধা হবে ট্রাম্পের। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, হোয়াইট হাউস দখলের লড়াইয়ে বাইডেনের সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামার ক্ষেত্রেও এই জয় অনেকটা এগিয়ে দিলো সাবেক রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্টকে।
সাউথ ক্যারোলিনায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিকির মূল অস্ত্র ছিল অতীত পরিসংখ্যান। সেই অনুযায়ী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রচারণাও চালিয়েছিলেন তিনি। ট্রাম্পের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
ভোটারদের সতর্ক করে তিনি বলেছিলেন, ট্রাম্পের শাসন আমেরিকায় আবার বিশৃঙ্খলা ডেকে আনবে। তবে নিকির প্রচারের প্রতিফলন ভোটবাক্সে দেখা যায়নি।
টিএম