পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা দখলদার ইসরায়েলের বর্বর হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। সেখানকার আর্থ-সামাজিক সব অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। এরফলে এখন খাদ্যভাবে পড়েছেন গাজার প্রায় সব মানুষ।

খাবার এখন এতটাই দুর্লভ হয়ে পড়েছে যে, ছোট্ট এ উপত্যকার বাসিন্দারা ঘোড়া জবাই করে খাচ্ছেন।

বার্তাসংস্থা এএফপির সঙ্গে কথা হয় আবু জিব্রিল নামের এক ব্যক্তির। তিনি জানিয়েছেন, নিজ পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিতে নিজের দুটি ঘোড়াকে জবাই করে দিয়েছেন তিনি। আবু জিব্রিল বলেছেন, “বাচ্চাদের খাওয়াতে আমাদের আর কোনো উপায় ছিল না। ঘোড়াকে জবাই করতে হয়েছে। ক্ষুধা আমাদের হত্যা করছে।”

আবু জিব্রিল আরও বলেছেন, “আমরা বড়রা হয়ত থাকতে পারছি। কিন্তু চার বছর-পাঁচ বছর বয়সী এসব শিশুরা কি করেছে? যারা ক্ষুধা নিয়ে ঘুমাতে যাচ্ছে আবার ক্ষুধা নিয়েই জেগে উঠছে।”

দিন যত যাচ্ছে গাজায় খাদ্য সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। ইসরায়েলের বোমা হামলার কারণে দাতব্য সংস্থাগুলোও সাধারণ মানুষের কাছে যেতে পারছে না। ফলে বেশিরভাগ মানুষই খাওয়ার জন্য কোনো ধরনের খাবার পাচ্ছেন না। এছাড়া পর্যাপ্ত খাদ্যও গাজায় ঢুকছে না।

ক্ষুধার যন্ত্রণায় গাজার বাসিন্দার এখন পঁচা ভুট্টা, পশুপাখিদের খাবার (যেগুলো মানুষের খাওয়ার জন্য উপযুক্ত নয়), লতাপাতা খাচ্ছেন।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সহায়ত কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, গাজার সাধারণ মানুষ এখন খাবারের জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েছেন। অপরদিকে জাতিসংঘ হুঁশিয়ারি দিয়েছে, প্রায় ২২ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন।

সূত্র: আলজাজিরা

এমটিআই