মহামারি করোনার দ্বিতীয় দফা প্রকোপে ভারতের অবস্থা বিপর্যস্ত। একই পরিস্থিতি বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেও। গত একদিনে পশ্চিমবঙ্গে রেকর্ড প্রায় ১১ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

এরমধ্যে কলকাতায় আক্রান্ত আড়াই হাজারের বেশি। দুই সহস্রাধিক আক্রান্ত হয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনায়। সেই সঙ্গে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিল ২১ শতাংশের বেশি সংক্রমণের হারও। পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতিকে অভিহিত করে সতর্ক করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

গতকাল মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল ৯ হাজার ৮১৯ জন। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত আজ বুধবারের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ৭৮৪ জন। একদিন আরও ৫৮ কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। 

নতুন করে কলকাতায় ২ হাজার ৫৬৮, উত্তর চব্বিশ পরগনায় ২ হাজার ১৪৯, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ৬৪৬, হাওড়ায় ৬২৬, বীরভূমে ৫৮০, পশ্চিম বর্ধমানে ৫৫৬ এবং হুগলিতে ৫২৩ জনের দেহে মহামারি ভাইরাস করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

এদিন রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলোর মধ্যে দার্জিলিংয়ে ২৩২, জলপাইগুড়িতে ১২১, উত্তর দিনাজপুর ১৮১, মালদহে ৪৫৪, মুর্শিদাবাদে ৪৬২, নদীয়ায় ৩৮০, পুরুলিয়ায় ২৯৪ এবং পূর্ব বর্ধমানে ২৯৬ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

লাফিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যাটাও। মঙ্গলবার মৃত্যু হয়েছিল ৪৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৮ জন। এর মধ্যে ১৩ জন কলকাতা এবং উত্তর চব্বিশ পরগনাতেও সর্বাধিক ১৩ জন মারা গেছে। রাজ্যে এ পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারাল ১০ হাজার ৭১০ জন।

বেড়েছে করোনা সংক্রমণের হারও। গতদিন মোট ৫০ হাজার ১৪টি করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তার মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১০ হাজার ৭৮৪ জনের। বুধবার পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার পৌঁছেছে ২১.৫৬ শতাংশে।

তবে আশার খবর হলো পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪১৩ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত রাজ্যটিতে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে ৯৪ লাখ ১১ হাজার ১৫৬ জনকে।

এএস