রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২২ সালে ইউক্রেনে হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। তার সেই নির্দেশনার পর ইউক্রেনে ঢুকে পড়েন রাশিয়ার সেনারা। এরপর শুরু হয় তুমুল যুদ্ধ। এতে ‘অকালেই’ ঝরে যায় ইউক্রেনের হাজার তরুণের প্রাণ। রাশিয়ার সৈন্যরা হামলা চালানোর পর এসব তরুণ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। এছাড়া রুশ বাহিনীর হামলায় প্রাণ যায় অনেক অভিজ্ঞ সেনারও।

যুদ্ধে প্রাণ হারানো এসব ইউক্রেনীয় সেনা— অথবা যারা সামনে প্রাণ হারাবেন, তারা এখন থেকে কবর থেকেও বাবা হতে পারবেন। গত শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনে এমনই একটি আইন করা হয়।

যেসব সেনা মৃত্যুর পরও বাবা হতে চান, তাদের শুক্রানু সংরক্ষণ করে রাখা হবে। এরপর সেগুলো তাদের স্ত্রীর ডিম্বানুতে প্রবেশের মাধ্যমে সন্তান সৃষ্টি করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন রোববার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে তারা তুলে এনেছে ভিতালি নামের এক সেনা ও তার স্ত্রী কায়রাকাচ-আন্তোনেকোর জীবন কাহিনী।

ভিতালি ২০২২ সালের নভেম্বর রুশ বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারান। যুদ্ধে যাওয়ার আগে তিনি ঠিক করেন নিজের শুক্রানু সংরক্ষণ করে রাখবেন; যেন তিনি মারা গেলেও, সেই শুক্রানু দিয়ে তার স্ত্রী সন্তান জন্ম দিতে পারেন।

যদিও যুদ্ধের মধ্যেই তিনি ছুটি পেয়ে একবারি বাড়িতে আসেন এবং ওই সময় তার স্ত্রী গর্ভবতী হন। কিন্তু এর কয়েক মাস পর তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হন। এরপর তার স্ত্রী আরও সন্তান নেওয়ার জন্য তার স্বামীর শুক্রানু সংরক্ষণের উদ্যোগ নেন। কিন্তু তিনি তখন জানতে পারেন; বৈধভাবে তিনি এটি করতে পারবেন না। যদিও তার স্বামী লিখিতভাবে এ ব্যাপারে নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়ে যান।

তবে এখন থেকে আর এই বিধবার মতো অন্যদের আর এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না। কারণ তারা এখন বৈধভাবেই মৃত স্বামীর শুক্রানু দিয়ে সন্তান ধারণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাদের সরকারিভাবে সহায়তাও করা হবে।

সূত্র: সিএনএন

এমটিআই