স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র-আরব বিশ্ব
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় মধ্যপ্রাচ্যের আরব অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রথম সারির মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এ তথ্য।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে গাজা উপত্যকায় ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব রাষ্ট্রগুলো। এই যুদ্ধবিরতির সময় উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মি এবং ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
এর পাশাপাশি ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী শান্তির জন্য স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন বিষয়ক আলোচনা-তৎপরতাও গতিশীল হয়েছে বলে জানা গেছে। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত চার মাসেরও বেশি সময় ধরে হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে যে যুদ্ধ চলছে, তার শেষ হবে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে— এমনটাই চাইছে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব বিশ্ব।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একটি আনুমানিক সময়সীমা সামনের সপ্তাহগুলোতে প্রকাশ করা হবে এবং মার্কিন প্রশাসন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২৪০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে ধরে নিয়ে যায়। অভূতপূর্ব সেই হামলার পর সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান সেই অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৮ হাজার ৭০০ জনে, আহত হয়েছেন ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর গোলায় বাড়িঘর হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন আরও লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, ও মিসরের নিরলস চেষ্টায় গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭ দিনের অস্থায়ী বিরতি চুক্তি হয়েছিল হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে। সেই ৭ দিনে নিজেদের কব্জায় থাকায় জিম্মিদের মধ্যে ১০৮ জনকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। পাল্টায় ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে দেড়শর বেশি মানুষকে মুক্তি দিয়েছিল ইসরায়েলও।
হিসেব অনুযায়ী, হামাসের কব্জায় এখনও ১৩২ জন জিম্মি রয়েছে। তাদের ফিরে পেতে ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ-আন্দোলন শুরু করেছেন জিম্মিদের স্বজনরা। ইসরায়েলের সাধারণ জনগণের একাংশও যোগ দিয়েছেন আন্দোলন কর্মসূচীতে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
এসএমডব্লিউ