গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় নিহত আত্মীয়ের পাশে বসে কাঁদছেন এক বৃদ্ধ -গেটি ইমেজেস

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফাহতে সোমবার রাতে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। তাদের এ হামলায় রাফাহতে এক রাতে প্রাণ হারিয়েছেন একশরও বেশি মানুষ।

ফিলিস্তিন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিসিআরসি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলিদের হামলায় অনেক ভবন ধসে পড়েছে। যেগুলোর এখন বহু মানুষ আটকা পড়ে আছেন।

গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর চার মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় বর্বরতা চালাচ্ছে তারা।

ইসরায়েলি সেনারা প্রথমে গাজার উত্তরাঞ্চলে হামলা চালায়। ওই সময় তারা সাধারণ মানুষকে দক্ষিণাঞ্চলে চলে আসতে বলে। এরপর দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস থেকে সাধারণ মানুষকে রাফাহতে চলে যেতে বলে তারা। ইসরায়েলি বাহিনীর নির্দেশনা ও জীবন বাঁচাতে প্রায় ১৩ লাখ মানুষ রাফাহতে আশ্রয় নেন। কিন্তু এখন সেখানেই হামলা চালানো শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েল।

এদিকে সোমবার রাফাহ থেকে দুই জিম্মিকে জীবিত উদ্ধারের দাবি করেছে ইসরায়েল। এদিন সকালে দখলদার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এ তথ্য জানায়।

এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, গত ৭ অক্টোবর এই দুইজনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর সোমবার রাতে রাফাহতে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।

আর এই অভিযানে অংশ নিয়েছিল প্রতিরক্ষা বাহিনী, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা সিন বেত এবং ইসরায়েলি পুলিশ।

যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তাদের নামও উল্লেখ করেছে দখলদার ইসরায়েল। উদ্ধারকৃতরা হলেন, ৬০ বছর বয়সী ফার্নান্দো সিমন মারম্যান ও ৭০ বছর বয়সী লুইস হার। তারা দুজনই শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

এই দুই ইসরায়েলিকে তেল হাসমোরের সেবা মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সূত্র: সিএনএন

এমটিআই