ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ‘শেষ নিরাপদ স্থান’ রাফাহতে পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগে অভিযান শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার বৈঠকে নেতানিয়াহু এমন কথা বলেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১১ অথবা ১২ মার্চ মধ্যপ্রাচ্যে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। অর্থাৎ ১০ মার্চের মধ্যে রাফাহতে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর গতকাল শুক্রবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, রাফাহ থেকে সব বেসামরিক ফিলিস্তিনিকে সরিয়ে নিতে— সেনাবাহিনীকে পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন নেতানিয়াহু।

দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের হামলা থেকে বাঁচতে গাজার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পালিয়ে ১৩ লাখেরও বেশি মানুষ রাফাহতে আশ্রয় নিয়েছেন। নেতানিয়াহু হুমকি দিয়েছেন, রাফাহতে শিগগিরই প্রবেশ করবে সেনারা। তাদের দাবি, সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সর্বশেষ ব্যাটালিয়নটি এখন রাফাহতে অবস্থান করছে।

তবে রাফাহর সাধারণ মানুষ সিএনএনকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনাদের সম্ভাব্য হামলা নিয়ে তারা বেশ শঙ্কায় রয়েছেন। কারণ যদি ইসরায়েলিরা এখানে ঢুকে পড়ে তাহলে তারা অন্য কোথাও আশ্রয় নিতে পারবেন না।

জাতিসংঘ রাফাহতে অবস্থানরত সাধারণ ফিলিস্তিনিদের নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটির মুখপাত্র স্টেফানে দুজারিক শুক্রবার এ উদ্বেগ জানান। অপরদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান মার্টিন গ্রিফিথিস সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, “গাজায় এখন যাওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই।” তিনি আরও বলেছেন, “বেসামরিকদের অবশ্যই রক্ষা করতে হবে এবং তাদের আশ্রয়স্থল, খাবার এবং স্বাস্থ্যসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা অবশ্যই মেটাতে হবে।”

গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় সব জায়গায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এখন শুধুমাত্র বাকি রয়েছে রাফাহ। ইসরায়েলিরাই নিরাপদ আশ্রয়ের কথা বলে সাধারণ মানুষকে রাফাহতে চলে যেতে বলেছিল।

সূত্র: সিএনএন

এমটিআই