ইউক্রেনের সেনাপ্রধানকে বরখাস্ত করলেন জেলেনস্কি
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ ভ্যালেরি জালুঝনিকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের দুই বছর ধরে যুদ্ধ চলছে এবং সংঘাতের শুরু থেকেই কিয়েভের যুদ্ধ প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন এই জেনারেল।
এর আগে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও জেনারেল জালুঝনির মধ্যে সম্পর্কে ফাটল দেখা দেওয়ার জল্পনা সামনে এসেছিল। আর এরপরই তাকে সরিয়ে দেওয়ার খবর সামনে এলো। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনিকে বরখাস্তের পর যুদ্ধ-পারদর্শী জেনারেল অলেক্সান্ডার সিরস্কিকে প্রেসিডেনশিয়াল ডিক্রির মাধ্যমে নতুন পদে স্থলাভিষিক্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর এটিই ইউক্রেনের সামরিক নেতৃত্বে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, হাইকমান্ডকে ‘নতুন করে সাজাতে’ হবে এবং জেনারেল জালুঝনি ‘দলের সাথে থাকতে পারেন’। তিনি বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘আজ থেকে একটি নতুন ব্যবস্থাপনা দল ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্ব গ্রহণ করবে।’
বিবিসি বলছে, জেনারেল জালুঝনি একজন জনপ্রিয় জেনারেল যিনি ইউক্রেনীয় সৈন্য এবং জনসাধারণের কাছে খুবই বিশ্বস্ত এবং তিনি দেশটির একজন জাতীয় বীর। সাম্প্রতি নানা জনমত রেটিংয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির চেয়ে তার জনপ্রিয়তা বেশি বলে দেখা গেছে।
জেলেনস্কি বলেছেন, সেনাবাহিনীতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো সম্পর্কে তিনি এবং জেনারেল জালুঝনি ‘খোলামেলা আলোচনা’ করেছেন এবং রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে ইউক্রেনকে রক্ষা করার জন্য এই জেনারেলকে তিনি ধন্যবাদও জানিয়েছেন।
জেলেনস্কি বলেন, নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল সিরস্কির প্রতিরক্ষামূলক এবং আক্রমণাত্মক উভয় ধরনের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি ২০২২ সালে রাশিয়ার পূর্ণ-মাত্রায় আক্রমণের শুরুতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের প্রতিরক্ষার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
এরপর তিনি একই বছরের গ্রীষ্মে খারকিভে ইউক্রেনের বিস্ময়কর এবং সফল পাল্টা আক্রমণের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এবং তখন থেকেই তিনি পূর্ব ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন
জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই এই বছরটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বছরে পরিণত করতে হবে। যুদ্ধে ইউক্রেনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য এই বছর গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীন ইউক্রেনের অস্তিত্বকে রাশিয়া সহজভাবে মেনে নিতে পারে না। আর এটিই আমাদের দেশের স্বাধীনতার বাস্তবতা।’
টিএম