যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার এক সাবেক শিক্ষিকা স্বীকার করেছেন— শারীরিক সম্পর্ক করতে নিজের ১৪ বছর বয়সী এক ছাত্রের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, মেগান পাওলিন জর্ডান নামের ২৫ বছর বয়সী এক শিক্ষিকা এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তিনি ভার্জিনিয়ার হাঙ্গারি ক্রিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন।

অপ্রাপ্ত বয়স্কের সঙ্গে যৌনকর্ম করার দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় বিভিন্ন ধারায় এখন তার ৫০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

হেনরিকো কাউন্টি কমনওয়েলথের অ্যাটর্নি অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ১৪ বছর বয়সী ছাত্রের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন তিনি।’

এই শিক্ষিকাকে ২০২৩ সালের জুনে গ্রেপ্তার করা হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ভার্জিনিয়ার আইন অনুযায়ী ১৭ বছরের কম বয়সী কেউ শারীরিক সম্পর্কে সম্মতি দিতে পারবে না।

হেনরি কাউন্টির কমনওয়েলথের অ্যাটর্নি অফিস আরও জানিয়েছে, ‘বেশ কয়েকবার মিস জর্ডান ছাত্রের বাড়িতে গেছেন এবং শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। ওই ছাত্রের বিছানার চাদরে অভিযুক্ত শিক্ষিকার ডিএনএ পাওয়া গেছে।’

হেনরিকো কাউন্টি পুলিশ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জুনের শুরুতে তারা জানতে পারে, এই শিক্ষিকা তার ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। এরপর তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে এই অভিযোগের সত্যতা মেলার পর শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

স্বামীর সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষিকা।

মিস জর্ডানকে গ্রেপ্তারের পর স্কুল ডিস্ট্রিক এক বিবৃতিতে জানায়, ‘তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি খুবই গুরুতর এবং বিব্রতকর’।

যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েকদিন ধরে ছাত্রের সঙ্গে শিক্ষিকাদের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়টি সামনে আসছে। গত মাসে আরাকানসাসের এক শিক্ষিকা স্বীকার করেন তিনি এক অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্রের সঙ্গে ৩০ বার যৌন সম্পর্ক করেছেন। ১৭ বছর বয়সী ওই ছাত্র অভিযোগ সামনে আনার পর ২০২৩ সালের এপ্রিলে ওই শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট

এমটিআই