রাখাইনে তুমুল লড়াই, ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়েছে জান্তা সৈন্যরা
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশে দেশটির জান্তা সৈন্যদের সাথে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) তুমুল লড়াই চলছে। রোববার রাখাইনের মংডু শহরের উত্তরাঞ্চলে দেশটির সামরিক বাহিনীর তৌং প্রো লেট ইয়ার ঘাঁটির দখল নিয়েছে বিদ্রোহীরা।
দেশটির সংবাদমাধ্যম নারিনজারার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া তৌং প্রো লেট ইয়ার ঘাঁটি দখলে নেওয়ার সময় বিদ্রোহীদের সাথে সেনাবাহিনীর ব্যাপক সংঘাত হয়েছে। আরাকান আর্মির সদস্যদের হামলার মুখে জান্তা সৈন্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
পরে দখলে নেওয়া ক্যাম্পে জান্তা বাহিনীর কয়েকজন সৈন্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় সেখান থেকে সামরিক বাহিনীর ফেলে যাওয়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদও জব্দ করেছে আরাকান আর্মি।
মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী বিদ্রোহীদের জোট থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স বলেছে, দেশ ও জনগণের স্বার্থে আরাকান আর্মির কয়েকজন সাহসী যোদ্ধাও তাদের প্রাণ উৎসর্গ করেছেন।
নারিনজারা বলেছে, রোববার ভোরের দিকে এএ যোদ্ধারা একযোগে উত্তর মংডুর তৌং প্রো লেট ইয়ার এবং টাং প্রো লেট ওয়ে নামের দুটি সামরিক শিবিরে হামলা চালিয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের মাঝে তীব্র সংঘর্ষ হয়। পাল্টাপাল্টি গোলাগুলি ও কামানের গোলার শব্দ পুরো অঞ্চলে শোনা যায়।
এদিকে, আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মাঝে গত দুদিনে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) অন্তত ৯৫ সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। তারা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।
থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আরাকান আর্মির যোদ্ধারা বর্তমানে ম্রাউক-ইউ, মিনবিয়া এবং কিয়াকতাও শহরের জান্তা ঘাঁটিগুলোর দখল নেওয়ার জন্য হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব এলাকায় বিদ্রোহীদের সাথে জান্তা সৈন্যদের লড়াই চলছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম বলছে, পোন্নাগিউন শহরে নদীর পাশ ঘেঁষে অগ্রসর হওয়া সামরিক বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে হামলা করছে আরাকান আর্মিরা যোদ্ধারা। আর রাখাইনের রাজধানী সিত্তে শহরের শোয়ে মিন গান ঘাঁটির নৌ যুদ্ধজাহাজ থেকে এএ যোদ্ধাদের ওপর গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। সিত্তেতে অবস্থিত ৩৫৪ লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নও গোলাবারুদ নিক্ষেপ করেছে।
সূত্র: নারিনজারা, বিএনআইঅনলাইন।
এসএস