ইরাকের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল-হারির বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনী।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনী এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিন মধ্যরাতে ইরাক ও সিরিয়ায় ৮৫টি অবকাঠামোতে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইরাকি এ সশস্ত্র গোষ্ঠী।

যুক্তরাষ্ট্রের যে ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে সেটি ইরবিল প্রদেশে অবস্থিত। কিন্তু সেখানে কোনো ধরনের হামলা হয়নি বলে দাবি করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর তিনটি সূত্র। তবে এসব দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে ইরাক ও সিরিয়ার যেসব স্থানে হামলা চালানো হয়েছে— সেখানে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের অবকাঠামো ছিল। এসব হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে দূরপাল্লার বি-১ বোমারু বিমান। যা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র থেকে মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে হামলা চালায়।

দেশটির সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ইরাক ও সিরিয়ায় কয়েক ধাপে হামলার পরিকল্পনা করেছেন। শনিবারেরটি ছিল প্রথম ধাপের হামলা।

যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, তাদের বিমান কমান্ড সেন্টার, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সংরক্ষণাগার সঙ্গে লজিস্টিক এবং অস্ত্র সরবরাহ অবকাঠামোতে সরাসরি আঘাত হেনেছে।

গত ২৮ জানুয়ারি সিরিয়া সীমান্তবর্তী জর্ডানের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের তিন সেনা নিহত হন।  ওই হামলার জবাবেই ইরাক সিরিয়ায় শনিবার মধ্যরাতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে মার্কিন সেনারা।

সিরিয়া সীমান্তবর্তী জর্ডানের টাওয়ার ২২ এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো কোনো হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনা নিহত হন।।

পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড এক বিবৃতিতে তিনজন নিহত ও ৪০ জন আহত হওয়ার তথ্য জানায়। সেন্ট্রাল কমান্ড আরও জানায়, ওয়ানওয়ে ড্রোন দিয়ে এ হামলা চালানো হয়েছে। ওয়ানওয়ে ড্রোনে বিস্ফোরক থাকে। যেটি লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এই হামলায় ব্যবহার করা হয় ইরানি ড্রোন।

সূত্র: আলজাজিরা

এমটিআই