ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার গাজা সিটিতে দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হামাসের সদস্যদের তীব্র লড়াই চলছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা অ্যারাবিক শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজা সিটির বিভিন্ন জায়গায় লড়াই হচ্ছে। যার মধ্যে আল-সিনা এবং আল-সুহাদার অলিগলিও রয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা সিটিতে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের এসব হামলা থেকে শহরটির লাখ লাখ বাসিন্দা জীবন বাঁচাতে দক্ষিণাঞ্চলে চলে গেছেন।

তবে হামাসের যোদ্ধারা সেখানে এখনো অবস্থান করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর এ কারণে সেখানে তীব্র লড়াই চলছে।

ইসরায়েল দাবি করেছে, গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করেছে তারা। তাদের এমন দাবি সত্ত্বেও এখনো উত্তরাঞ্চলে লড়াই চলছে।

বর্তমানে ইসরায়েলি সেনারা দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে তাণ্ডব চালাচ্ছে। এখন ইসরায়েলি সেনারা গাজার সর্বশেষ ‘নিরাপদ স্থান’ রাফাহতে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।  

রাফাহতে হামলার হুমকি দিয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ট বলেছেন, ‘হামাসের খান ইউনিস ব্রিগেডকে নির্মূল করা হয়েছে। আমরা সেখানে অভিযান শেষ করব এবং রাফাহতে এটি অব্যাহত রাখব। হামাসের ওপর আমরা যত চাপ প্রয়োগ করব ততই জিম্মিদের কাছে পৌঁছাব, যা অন্য সবকিছুর চেয়ে বেশি। আমরা শেষ পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রাখব। এ ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।’

আলজাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি মন্ত্রীর এ ঘোষণা নির্দেশ করছে— ফিলিস্তিনিদের জীবনকে তারা কোনো পরোয়া করে না। তাদের কাছে ফিলিস্তিনিদের কোনো মূল্য নেই।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর ওইদিন থেকেই গাজায় বর্বর হামলা চালানো শুরু করে দখলদার ইসরায়েল।

এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় গাজায় ২৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। এছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন আরও সাত থেকে আট হাজার ফিলিস্তিনি।

সূত্র: আলজাজিরা

এমটিআই