ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (ফাইল ছবি)

জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থায় সম্পূর্ণরূপে ঢুকে পড়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এমন দাবিই করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

আর তাই গাজায় ইউএনআরডব্লিউএ-এর বদলে অন্যান্য সংস্থাকে আনার দাবি জানিয়েছেন তিনি। বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-তে হামাস ‘সম্পূর্ণ অনুপ্রবেশ’ করেছে বলে বুধবার দাবি করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

এর আগে গত বছরের ৭ অক্টোবরের হামলায় ইউএনআরডব্লিউএ-এর ১২ জন কর্মী অংশ নিয়েছিল বলে দাবি করেছিল ইসরায়েল। এরপর বিভিন্ন দেশ এই সহায়তা সংস্থায় অর্থায়ন স্থগিত করে।

বুধবার জেরুজালেমে জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূতদের একটি বৈঠকে নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইউএনআরডব্লিউএ-তে সম্পূর্ণরূপে হামাসের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। আমাদের ইউএনআরডব্লিউএ-এর জায়গায় জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা এবং অন্যান্য সাহায্য সংস্থাগুলোকে আনতে হবে।’

মূলত গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। আর হামাসের এই হামলায় ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ সামনে এনেছে ইসরায়েল।

এরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ জাতিসংঘের এই সংস্থার অর্থায়ন স্থগিত করে। যদিও হামাসের হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে সংস্থাটি তার বেশ কয়েকজন কর্মীকে বরখাস্ত করার ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি তদন্ত করার কথাও ঘোষণা করেছে।

এএফপি বলছে, বুধবার নেতানিয়াহু এমন এক সময় এই মন্তব্য করলেন যখন ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ১২ জন কর্মচারী জড়িত থাকার অভিযোগের স্বাধীন তদন্ত করা ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘এই সংস্থাটি (ইউএনআরডব্লিউএ) হামাসের সেবা করছে। নিজেদের স্কুলে এবং অন্যান্য অনেক কিছুর মাধ্যমে তারা হামাসের সেবা করছে।’

ইসরায়েলের এই কট্টরপন্থি প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ‘আমি অত্যন্ত দুঃখের সাথে এটি বলছি, কারণ আমরা আশা করেছিলাম সহায়তা দেওয়ার জন্য একটি গঠনমূলক সংস্থা হিসেবে কাজ করবে তারা। গাজায় আজ আমাদের এমন একটি সংস্থার প্রয়োজন, কিন্তু ইউএনআরডব্লিউএ সেই ধরনের সংস্থা নয়।’

উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ গাজায় কাজ পরিচালনা করা জাতিসংঘের বৃহত্তম সংস্থা। সংস্থাটি গাজা, পশ্চিম তীর, জর্ডান, লেবানন এবং সিরিয়ার ফিলিস্তিনিদের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং অন্যান্য মানবিক সহায়তা প্রদান করে। গাজার অভ্যন্তরে সংস্থাটির প্রায় ১৩ হাজার কর্মী রয়েছে।

টিএম