পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি

আফগান শান্তি  প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকতে তালেবান বিদ্রোহী গোষ্ঠীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাজধানী আবুধাবিতে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের সাথে এক সাক্ষাৎকারে মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি এ আহ্বান জানান।

গত সপ্তাহে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাসহ সকল বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তালেবানের চুক্তি অনুযায়ী তা ১ মের পরিবর্তে ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা বলা হয়। এর প্রতিবাদ জানিয়ে আফগানিস্তান সম্পর্কিত সকল সম্মেলন বয়কটের ঘোষণা দেয় সশস্ত্র সংগঠনটি। এরপরই আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকতে গোষ্ঠীটির প্রতি আহ্বান জানান কুরেশি।

রয়টার্সের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (তালেবান) তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু তাদেরকে সঠিক পথে রাখতে যা করার সেটা আমরা করব। কারণ এটা তাদের (আফগানিস্তান) জাতীয় স্বার্থের বিষয় এবং এতে তালেবানের যুক্ত থাকা উচিত।’

শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেন, ‘আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১ মে থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু হবে এবং ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেটা সম্পন্ন হবে।’

তিনি বলেন, শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকার মাধ্যমে তালেবান গোষ্ঠী উপকৃত হবে বলে তার বিশ্বাস।

কয়েকটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, আলোচনার টেবিলে ফিরে আসতে তালেবান গোষ্ঠীকে চাপ দিচ্ছে পাকিস্তান।

আফগান শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে শনিবার থেকে তুরস্কের উদ্যোগে একটি সম্মেলন শুরুর কথা থাকলেও তালেবানের এই সিদ্ধান্ত সম্মেলনকে অনিশ্চয়তার মুখে ফেলে দিয়েছে। এই সম্মেলনে আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশা করেছিলেন কূটনীতিকরা।

১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতায় ছিল তালেবান। তবে নাইন-ইলেভেনের ঘটনা প্রবাহের পর যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ক্ষমতাচ্যুত হয় গোষ্ঠীটি। কিন্তু এখনও তারা আফগানিস্তানের বিস্তৃত এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে।

সূত্র: আলজাজিরা

টিএম