ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের ছাড়িয়ে নিতে নতুন চুক্তি করার চেষ্টা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এর অংশ হিসেবে গত রোববার (২৮ জানুয়ারি) ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বৈঠক করেন ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, মিসরের গোয়েন্দা প্রধানরা। এতে যোগ দেন কাতারের প্রধানমন্ত্রীও।

তারা জিম্মিদের ছাড়িয়ে আনতে ও অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তির কাঠামো নিয়ে একমতও হন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে, ওই কাঠামো অনুযায়ী, হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে প্রাথমিক অবস্থায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতি হবে। ওই সময় নারী, শিশু ও বৃদ্ধ জিম্মিদের ছাড়বে হামাস। এরবদলে ফিলিস্তিনি বন্দিদের তাদের কারাগার থেকে মুক্তি দেবে দখলদার ইসরায়েল। পরবর্তীতে ইসরায়েলি সেনাদের মুক্তি দেবে হামাস। সেটি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়তে পারে।

তবে হামাস নতুন এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। মূলত গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হামাস একটি বিবৃতি দেয়, এতে তারা স্পষ্ট করে জানায় যে কোনো ধরনের বিরতির শর্ত হলো— ইসরায়েলকে তার সব সেনাকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে এবং যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। এরপর জিম্মিদের মুক্তির ব্যাপারে আলোচনা হবে।

এছাড়া হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাহের আল-নোনুউ বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা প্রথমে যা নিয়ে কথা বলছি সেটি হলো, একটি পূর্ণ এবং বিস্তৃর্ণ যুদ্ধবিরতি। কোনো অস্থায়ী সাময়িক যুদ্ধবিরতি নয়। যখন হামলা বন্ধ হবে; জিম্মি মুক্তিসহ অন্য সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ অবশ্য জানিয়েছে, নতুন জিম্মি চুক্তির প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সরাসরি হামাস এ বিবৃতি দিয়েছে কি না সেটি স্পষ্ট নয়।

তবে এটি সত্যি যে, নতুন এ চুক্তির প্রস্তাবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়নি। আবার এটি পুরোপুরি বাদও দেওয়া হয়নি।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

এমটিআই