ডেলিভারি সেবায় প্রবাসীদের কাজের সুযোগ নিষিদ্ধ করে আইন তৈরি করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব। আগামী এপ্রিল মাস থেকে এই আইন কার্যকরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। সৌদি আরবের ট্রান্সপোর্ট জেনারেল অথরিটি (টিজিএ) পণ্য ডেলিভারি কাজে নিয়োজিতদের জন্য নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম প্রবর্তনসহ এই খাতকে নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে নতুন আইন তৈরি করেছে।

আইনে বলা হয়েছে, দেশটির ডেলিভারি কোম্পানিগুলোকে তাদের ড্রাইভারদের জন্য ফেস-ভেরিফিকেশন ফিচার চালু করতে হবে। যা সরাসরি টিজিএর সিস্টেমের সাথে সংযুক্ত থাকবে। একই সঙ্গে ক্রমান্বয়ে আগামী ১৪ মাসের মধ্যে এই ডেলিভারি পরিষেবা থেকে প্রবাসীদের বাদ দিতে হবে। এই খাতে কেবল সৌদি নাগরিকরা কর্মরত থাকতে পারবেন।

নতুন আইনে পৌর ও গ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে বিজ্ঞাপনের জন্য হালকা যানবাহন ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে। নতুন এই ব্যবস্থায় ডেলিভারি কাজে নিযুক্ত চালকদের দক্ষতার পাশাপাশি নিরাপত্তা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ডেলিভারি কাজে যুক্তরা যাতে মানুষের আস্থায় পরিণত হতে পারেন সেদিকটিও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

টিজিএ বলছে, সৌদি আরবের নাগরিকদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যও রয়েছে নতুন এই ব্যবস্থার; যাতে তারা ডেলিভারি খাতে কাজে আরও আগ্রহী হন। সংস্থাটির মুখপাত্র সাহেল আল জুওয়ায়েদ বলেন, ‘‘সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো একটি ডেলিভারি খাত। এই খাতের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ ও সম্প্রসারণ আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য।’’

সৌদি আরবের টেলিভিশন চ্যানেল আল এখবারিয়াকে তিনি বলেছেন, বর্তমানে সৌদি আরবের ডেলিভারি খাতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ৩৭টি কোম্পানি কাজ করছে।

দেশটির এই কর্মকর্তার মতে, গত বছর ২০ কোটিরও বেশি ডেলিভারি কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। যা সৌদিদের জন্য একাধিক কাজের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি এই খাতকে নিয়ন্ত্রণ এবং এতে বিশ্বাসযোগ্যতা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির গুরুত্বের ওপর জোর দেয়।

তিনি বলেন, সৌদিতে পার্সেল এবং অন্যান্য অর্ডার সরবরাহের জন্য ১০০টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত হালকা পরিবহন সংস্থা রয়েছে। তারা ডেলিভারি অ্যাপগুলোর সহযোগিতায় পরিষেবাটি সরবরাহ করতে পারে।

এসএস