মধ্যপ্রাচ্যের আল আকাস অঞ্চলে ‘ইসরায়েল এবং ‘ফিলিস্তিন’ নামের দু’টি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্রেটিক পার্টির অধিকাংশ সদস্য।

কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের মোট ১০০টি আসনের মধ্যে ৫১টিতে রয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্যরা। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই দলের শীর্ষ নেতা। নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে অবশ্য বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ।

এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সিনেটের বুধবারের অধিবেশনে ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ও সিনেটর ব্রায়ান শ্যাটজ একটি বিল উত্থাপন করেন। সেই বিলটিতে আল আকসা অঞ্চলে একটি গণতান্ত্রিক ও সার্বভৌম ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের ‘ন্যায্য আকাঙ্ক্ষার’ প্রতি সম্মান জানিয়ে পৃথক আর এক রাষ্ট্র স্থাপনের উল্লেখ ছিল।

বিলটি উত্থাপনের পর সেটির পক্ষে-বিপক্ষে ভোটের আহ্বান জানান সিনেট স্পিকার। এই পর্ব শেষ হওয়ার দেখা যায়, সিনেটের ৫১ জন ডেমোক্র্যাট সদস্যদের মধ্যে ৪৯ জনই প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

‘ভবিষ্যতে ইসরায়ের এবং ফিলিস্তিন শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করবে— এটি একটি আশা। আর এই আশার ভিত্তি হলো দ্বিরাষ্ট্র সমাধান,’ বুধবারের অধিবেশনের অবসরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ব্রায়ান শ্যাটজ।

ইসরায়েলের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ২০২০ সালে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বচিত হওয়ার পর থেকে আল আকসা অঞ্চলে ‘ইসরায়েল’ ও ‘ফিলিস্তিন’ নামের দু’টি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে ওয়াশিংটন।

বুধবারের অধিবেশনে সিনেটের দুই ডেমোক্র্যাট সদস্য বিলটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। এরা হলেন জন ফেটারম্যান এবং জো ম্যাঞ্চিন। কী কারণে বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন, তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তারা। ফেটারম্যানের সচিব বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানান, ডেমোক্রেটিক পার্টির এই সিনিয়র নেতা সবসময়ই দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেন, হামাসকে চিরতরে নিষ্ক্রিয় না করলে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে শান্তি স্থাপন সম্ভব নয়।

‘সিনেট অধিবেশনে উত্থাপিত বিলটিতে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে বলা হলেও হামাসকে নিষ্ক্রিয় করার ব্যাপারটির উল্লেখ ছিল না। এ কারণে তিনি (পক্ষে) ভোট দেননি,’ রয়টার্সকে বলেন ফেটারম্যানের সচিব।

আরেক ডেমোক্র্যাট সিনেটর জো ম্যাঞ্চিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যদি একবার ফিলিস্তিনের জনগণ তাদের হৃদয় থেকে ইসরায়েলের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে, তাহলে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে দাঁড়ানো প্রথম ব্যক্তিটি হবো আমি।’

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ