নাইট্রোজেন গ্যাসের মাধ্যমে কেনেথ স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি চলছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আলবামা রাজ্যে নতুন ও ‘ভয়ংকর পদ্ধতিতে’ এক আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৫ জানুয়ারি তার দণ্ড কার্যকর হবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, কেনেথ স্মিথ নামের ৫৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির দণ্ড কার্যকর হবে নাইট্রোজন গ্যাসের মাধ্যমে। তাকে একটি খাটে শোয়ানো হবে। এরপর তার মুখে নাইট্রোজেন গ্যাসের একটি মাস্ক পরানো হবে। এরপর শ্বাসের মাধ্যমে নাইট্রোজেন গ্যাস শ্বাসনালীর ভেতর নিতে বলা হবে তাকে। যখন তার দেহে শ্বাসের মাধ্যমে নাইট্রোজেন গ্যাস প্রবেশ করবে; তখন অক্সিজেন চলাচল বন্ধ হয়ে মৃত্যু হবে তার।

১৯৯৮ সালে আলাবামায় চুক্তিভিত্তিতে একজনকে হত্যার অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। 

তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের প্রাণী চিকিৎসকরা এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘোর বিরোধীতা করছেন। তারা জানিয়েছেন, অসুস্থ পশুদের কষ্টবিহীন মৃত্যু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে তারা এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু এটি ততটা কার্যকরী ছিল না।

এরআগে বিশ্বের কোথাও এভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি। যদিও নাইট্রোজেন গ্যাস সমৃদ্ধ স্থানে দুর্ঘটনা হয়ে এবং সেগুলো শ্বাসনালির ভেতরে প্রবেশের মাধ্যমে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের প্রাণী চিকিৎসক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে শূকর ছাড়া আর কোনো প্রাণীর মধ্যে তারা এই পদ্ধতির উল্লেখযোগ্য কার্যকারিতা দেখেননি। এ কারণে এই পদ্ধতিতে কোনো প্রাণীকে হত্যা করার আগে অজ্ঞান করার কথা বলেছেন তারা।

গত সপ্তাহে একটি নির্বাহী আদালতের বিচারক কেনেথ স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে সবুজ সংকেত দেন। যদিও কেনেথ স্মিথ বলেছেন অপরীক্ষিত পদ্ধতির কারণে ‘অসহ্য ক্ষতির শিকার’ হতে পারেন তিনি।

কেনেথ স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পদ্ধতি নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের হাইকমিশনার বলেছেন, ‘নাইট্রোজেন গ্যাসের মাধ্যমে দমবন্ধ’ করার এ বিষয়টি নির্যাতন, বর্বরতা, অমানবিক এবং আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ পদ্ধতির সমকক্ষ হবে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এমটিআই