উত্তর মেরুর আর্কটিক অঞ্চল থেকে বয়ে আগত শৈত্যপ্রবাহের জেরে তীব্র ঠাণ্ডায় জমে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের অধিকাংশ অঞ্চল। প্রবল শীতের কারণে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ইতোমধ্যে ৩৩ জনের প্রাণহানির সংবাদ পাওয়া গেছে।

বিভিন্ন মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ব্যাপক তুষারপাত এবং হিমশীতল বৃষ্টির জেরে হাড় কাঁপানো শীত এবং হাইপোথার্মিয়ায় (ঠান্ডাজনিত পানিশূন্যতা) প্রাণহানি ঘটেছে এই মৃতিদের।

এদিকে প্রবল শীতের কারণে দেশজুড়ে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রে; কিন্তু বাড়তি সেই বিদ্যুতের যোগান দিতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানিগুলো। এই মুহূর্তে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের লাখ লাখ বাড়িঘর ও বাণিজ্যকেন্দ্র বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে।

দেশটির কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (এনডব্লিউএস) বৃহস্পতিবার এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আপাতত শিগগিরই আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। সামনে আরও তুষারঝড় আসতে পারে বলে সতর্কবার্তাও দিয়েছে এনডব্লিউএস।

এনডব্লিউএসের এক কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, ‘দেশজুড়ে তুষারঝড়-শৈত্যপ্রবাহ চলছে, সেটি প্রাথমিক পর্যায়ের। শৈত্যপ্রবাহের গুরুতর পর্যায় এখনও শুরুই হয়নি। আরও কয়েক দিন পর, সম্ভবত শুক্রবার থেকে আমরা সেই পর্বে প্রবেশ করব।’

শৈত্যপ্রবাহের চুড়ান্ত পর্যায়ে ক্যাসাকেডস রকি পর্বতমালার সংলগ্ন অঞ্চল এবং নিউইয়র্ক, অরেগন, মিসিসিপি, ফ্লোরিডা, টেনেসি, কানেকটিকাট, মাইনসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব অঙ্গরাজ্য ১ থেকে ২ ফুট উঁচু তুষারের স্তূপ জনবে বলে জানিয়েছে এনডব্লিউএস।

রাস্তা-ঘাটে ব্যাপক তুষার থাকায় বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে গাড়ি ও বাস-ট্রাক চালকদের সাবধানে চলাচল করার নির্দেশনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সড়ক ও পরিবহন কর্তৃপক্ষ। দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে মঙ্গলবার প্রায় ৩ হাজার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

এসএমডব্লিউ