ইউক্রেনের রাষ্ট্রত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে, হুঁশিয়ারি পুতিনের
ইউক্রেনের রাষ্ট্রত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে ইউক্রেনে রাশিয়ার অর্জনগুলো জোর করে কেড়ে নেওয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধের চলমান ধরন অব্যাহত থাকলে ইউক্রেনের রাষ্ট্রত্ব ‘অপূরণীয় আঘাত’ ভোগ করতে পারে এবং রাশিয়াকে কখনোই তার অর্জনগুলো জোর করে ত্যাগ করতে বাধ্য করা যাবে না বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অনুরোধে সুইজারল্যান্ড বৈশ্বিক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনে সম্মত হওয়ার একদিন পর পুতিন টেলিভিশনে দেওয়া বক্তৃতায় এই মন্তব্য করেন।
পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ ও ইউক্রেনে আলোচিত হওয়া ‘তথাকথিত শান্তি ফর্মুলাগুলোকে’ পুতিন প্রত্যাখ্যান করেন। একইসঙ্গে এগুলোকে তিনি ‘নিষিদ্ধ দাবি’ বলেও অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আচ্ছা, যদি তারা (আলোচনা করতে) না চায়, তাহলে করবে না!’
রাশিয়ার এই প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘এখন এটা বেশ সুস্পষ্ট, শুধুমাত্র (ইউক্রেনের) পাল্টা আক্রমণই ব্যর্থ হয়নি, পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর হাতে রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ইউক্রেনের রাষ্ট্রত্ব একটি অপূরণীয়, অত্যন্ত গুরুতর আঘাতের সম্মুখীন হতে পারে।’
রয়টার্স বলছে, চলমান যুদ্ধের গতিপথ সম্পর্কে পুতিনের বিবৃতি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ক্রমবর্ধমান আত্মবিশ্বাসী এবং আক্রমনাত্মক হয়ে উঠেছে। এছাড়া ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ সুনিপুণ রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতেও ব্যর্থ হয়েছে।
রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনের ১৭.৫ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে।
আরও পড়ুন
প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, আমরা যা উপলব্ধি করেছি তা হচ্ছে- গত দেড় বছরে হওয়া আলোচনা ও সংলাপ ছিল মূলত (ইউক্রেনে) আমাদের অর্জনগুলো পরিত্যাগ করতে আমাদের অনুপ্রাণিত করার একটি প্রচেষ্টা। কিন্তু এটা অসম্ভব। সবাই বোঝে, এটা অসম্ভব।’
প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির উত্থাপিত শান্তি ফর্মুলায় অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা পুনরুদ্ধার, সংঘাত বন্ধ করা এবং রাশিয়ান সৈন্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে রাশিয়া বলেছে, শান্তির জন্য যে কোনও আলোচনার ক্ষেত্রে রুশ বাহিনীর মাধ্যমে সৃষ্ট ‘নতুন বাস্তবতা’ বিবেচনা করতে হবে।
টিএম