ইরাকের কুর্দিস্তানের রাজধানী ইরবিলে সোমবার মধ্যরাতে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড (আইজিআরসি)। এই হামলায় ইরানের অন্যতম ধনী ব্যক্তি পেসরো দিজায়ি নিহত হয়েছেন। ইরবিলে তার বিলাসবহুল বাড়িতে সরাসরি আঘাত হানে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র।

ধারণা করা হচ্ছে, বিপ্লবী গার্ডের সেনারা তার বাড়িকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পেসরো দিয়াজির সঙ্গে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও জার্মান গোয়েন্দা সংস্থা বিএনডিএর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল। ফলে তাকে ইসরায়েলি গুপ্তচর বিবেচনা করে হামলা চালিয়েছে ইরানি বাহিনী।

ইহালাল নামের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পেসরো দিয়াজি ফ্যালকন গ্রুপের কর্ণধার ছিলেন। ইরাকের কুর্দিস্তানে আবাসন, তেল, নিরাপত্তা সেবা ও অন্যান্য ব্যবসা করত তার প্রতিষ্ঠান। মৃত্যুর সময় তিনি ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক ছিলেন।

তার বাড়িতে যে হামলা হয়েছে, এতে তার এক মেয়েও নিহত হয়েছেন। এছাড়া তার স্ত্রী ও অপর সন্তানেরা গুরুতর আহত হয়েছেন।

পেসরো দিয়াজির মৃত্যুর বিষয়টি পশ্চিমাদের জন্য অনেক বড় বিষয় বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো। কারণ তার মাধ্যমে কুর্দিস্তানে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলছিল পশ্চিমারা।

২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বাহিনী ইরাকে হামলা চালানোর পর ফ্যালকন গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন পেসরো দিয়াজি।

সাদ্দাম হোসেনের শাসনের অবসান হলে তাকে ইরাকে ব্যবসার লাইসেন্স দেয় ওই সময়কার দখলদার পশ্চিমা সেনারা। ফ্যালকন গ্রুপের যে নিরাপত্তা সেবা রয়েছে, সেখানে অনেক সাবেক মার্কিন সেনা রয়েছেন।

সূত্র: ইহালাল

এমটিআই