ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবের একটি শহরে গাড়ি ও ছুরি দিয়ে হামলা চালিয়েছেন এক ফিলিস্তিনি। এতে অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) তেল আবিব থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের শহর রানানায় এ ঘটনা ঘটে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা সংস্থার বরাতে জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। যারমধ্যে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধাও রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা ইসরায়েলি আর্মি রেডিওকে জানিয়েছেন, হামলাকারী খুব সম্ভবত গাড়ি হাইজ্যাক করে নিয়ে এসেছিলেন। ঘটনাস্থলে গাড়িটি বিধ্বস্ত হয়।

এ ব্যাপারে একজন বলেছেন, ‘সব কিছু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে হয়েছে। আমরা গাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার শব্দ শুনতে পাই। আমরা দেখতে পাই গাড়ির চালক এক নারীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করছেন। ওই সময় ওই নারী পালিয়ে যান। এরপর হামলাকারী ৬০ বছরের এক বৃদ্ধকে ছুরিকাঘাত করেন। ওই সময় সেখানে অনেক মানুষ চিৎকার করছিলেন।’

অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ‘তিনজনকে এক ব্যক্তি শপিং মলের কাছে ছুরিকাঘাত করছে আমি দেখেছি। সেখান থেকে একটি গাড়ি হাইজ্যাক করেন তিনি। এরপর ওই গাড়ি দিয়ে অনেক মানুষকে চাপা দেয়।’

ইসরায়েলি পুলিশের মুখপাত্র এলি লেভি আর্মি রেডিওকে বলেছেন, এই হামলার পেছনে কি উদ্দেশ্য রয়েছে সেটি ‘নিশ্চিত’ করে তারা বলতে পারছেন না।

ইসরায়েলি অপর সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, হামলাকারী একাধিক স্থানে গেছেন এবং সেসব জায়গায় হামলা চালিয়েছেন।

তিনি প্রথমে একটি গাড়ির চালককে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। এরপর গাড়িটি নিয়ে তিনজনকে ধাক্কা দেন।

এরপর গাড়িটি আটকে যাওয়ার পর সেটি ফেলে দিয়ে অপর একটি গাড়ি হাইজ্যাক করেন এবং আহুজা সড়ক দিয়ে চালিয়ে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকজনকে চাপা দেন।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ওই ফিলিস্তিনি পশ্চিমতীরের হেবরনের বাসিন্দা এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, এ ঘটনায় সবমিলিয়ে তিনটি গাড়ি হাইজ্যাক করে সে। এরপর শহরজুড়ে চালায় তাণ্ডব।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

এমটিআই