ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্য ও বৃহৎ পরিসরে শান্তি সম্মেলনে আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েং উই। এছাড়া দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

গাজার যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া এবং লোহিত সাগরে উত্তেজনা বৃদ্ধির পর এমন আহ্বান জানিয়েছেন চীনা মন্ত্রী।

কায়রোতে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেজ সৌকরির সঙ্গে গতকাল রোববার (১৪ জানুয়ারি) বৈঠক করেন ওয়েং উই। এরপর তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে ওয়েং উই বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ন্যায়সঙ্গত বিষয়গুলো সতর্কতার সঙ্গে ‘শুনতে’ হবে।

তিনি বলেন, ‘চীন বৃহৎ আকারে, বিশ্বাসযোগ্য এবং কার্যকর একটি শান্তি আলোচনার, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি শান্তি আলোচনা শুরুর আহ্বান জানায়।’

সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের রোডম্যাপটি মানার ‘বাধ্যবাধকতা’ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ‘শান্তি আলোচনা সময় এবং একটি কোথায় হবে, আমি মনে করি সেটি সবপক্ষের আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা উচিত।’

গত শুক্রবার ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য। লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী জাহাজে হামলা চালানোর জবাব দিতে হুথিদের বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে যৌথ হামলা চালায় মার্কিন ও ব্রিটিশ সেনারা। হুথিদের দাবি, গাজা উপত্যকার সাধারণ মানুষ ও হামাসের প্রতি সংহতি জানাতে লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে তারা।

লোহিত সাগরে হুথিদের এসব হামলার কারণে বিশ্বের বড় পরিবহণ সংস্থাগুলোর জাহাজ সেখান দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এর বদলে আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে জাহাজগুলো গন্তব্যে যাচ্ছে। এতে করে পণ্য পরিবহনে সময় বেশি লাগছে এবং দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। লোহিত সাগরে হামলার কারণে মিসরের সুয়েজ খালে চীন যে বিনিয়োগ করেছে সেটিও হুমকির মুখে পড়েছে।

চীন সরাসরি কোনো দ্বন্দ্বে জড়াতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে দেশটি বলেছে, কূটনীতির মাধ্যমে ‘নিজেদের প্রভাব, গ্রহণযোগ্যতা এবং শক্তি’ ব্যবহার করে তারা দ্বন্দ্ব নিরসনে প্রস্তুত আছে।

সূত্র: রয়টার্স

এমটিআই